লালগোলা, 4 মে:ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে এক ট্রাক্টর চালকের মলদ্বার থেকে উদ্ধার হল 6টি সোনার বিস্কুট । বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে অস্ত্রোপচার করে সোনার বিস্কুটগুলি উদ্ধার করা হয় । যার বাজারমূল্য আনুমানিক 43 লক্ষ টাকা । দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীন বিএসএফ কর্মীরা ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে তাঁদের দায়িত্বে থাকা এলাকা থেকে 43,05,246 টাকা মূল্যের 6টি সোনার বিস্কুট-সহ একজন চোরাকারবারীকে আটক করেছে ।
ঘটনাটি 3মে ঘটে বিএসএফের সীমা চৌকি অ্যাট্রোসিয়া, 35 ব্যাটালিয়ন এলাকায় । গোয়েন্দা বিভাগ কর্তব্যরত জওয়ানদের জানায় যে, এক চোরাকারবারী কৃষকের ছদ্মবেশে কাঁটাতারের ওপারে তাঁর জমিতে কাজ করতে গিয়েছে এবং ফেরার সময় সে সোনার বিস্কুট নিয়ে আসবে । এরপর দুপুর দুটো সময় জওয়ানরা একটি সন্দেহজনক ট্রাক্টর চালককে তার জমি থেকে আসতে দেখেন ।
বিএসএফ জওয়ানরা তাকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি করে এবং মেশিন থেকে সন্দেহজনক বিপ আওয়াজ শোনা যায় । জওয়ানরা সঙ্গে সঙ্গে চালককে ট্রাক্টর থেকে নামিয়ে সীমান্ত চৌকিতে নিয়ে যান । সীমান্ত চৌকিতে কঠোর জিজ্ঞাসাবাদে চোরাকারবারী জানায়, তার শরীরের পেছনের অংশে 6টি সোনার বিস্কুট রয়েছে । এর পরে জওয়ানরা পাচারকারীকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় । যেখানে চিকিৎসকরা পাচারকারীর এক্স-রে করেন । রিপোর্টে তাঁর মলদ্বারে হলুদ রঙের ধাতু দেখা যায় ।
চিকিৎসকের দল অস্ত্রোপচার করে পাচারকারীর মলদ্বার থেকে 6টি সোনার বিস্কুট বের করেন । ধৃত পাচারকারীর নাম আবদুস সামাদ ৷ তার বাড়ি মুর্শিদাবাদে । জিজ্ঞাসাবাদে চোরাকারবারী জানায়, এই সোনার বিস্কুটগুলো তাকে করিম শেখ দিয়েছে ৷ যার বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জে ৷ চোরাকারবারীকে জাকারিয়ার কাছে এই বিস্কুট হস্তান্তর করতে বলা হয়েছিল । এর পরে, জওয়ানরা লালগোলার কাস্টম অফিসে পৌঁছে পাচারকারীর মেডিক্যাল রিপোর্ট এবং সোনা-সহ তাকে হস্তান্তর করে ।
আরও পড়ুন:পাচার রুখতে কঠোর বন দফতর, নিরাপত্তা আঁটোসাটো করতে বাড়ছে টহলদারি