হরিহরপাড়া (মুর্শিদাবাদ), 7 জুন : এসএসসি দুর্নীতি মামলায় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতার পর চাকরি খোয়ালেন মুর্শিদাবাদের সিদ্দিক গাজি (School Teacher from Murshidabad Lost His Job in SSC Corruption Case) ৷ হাইকোর্টের নির্দেশে হরিহরপাড়া থানার সলুয়াডাঙা উচ্চবিদ্যালয়ের অংকের শিক্ষক সিদ্দিক গাজিকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হল ৷ 2021 এর শুরুতে সলুয়াডাঙা উচ্চবিদ্যালয়ে অংকের শিক্ষক পদে যোগ দিয়েছিলেন তিনি ৷ মাস দু’য়েক আগেই এসএসসি কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁকে নোটিস ধরানো হয়েছিল ৷ আর এ দিন হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি থেকে বরখাস্ত হলেন সিদ্দিক গাজি ৷
এসএসসি দুর্নীতি মামলায় বেআইনি নিয়োগ এবং স্বজনপোষণের অভিযোগে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে স্কুল শিক্ষিকার চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন ৷ এমনকি বেতনের সমস্ত টাকা তাঁকে মিটিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট ৷ একইভাবে সিদ্দিক গাজির বিরুদ্ধে নিয়ম বহির্ভূত নিয়োগের অভিযোগে, মামলা দায়ের করেছিলেন অনুপ গুপ্ত নামে এক চাকরিপ্রার্থী ৷ অভিযোগ মেধাতালিকায় 200 নম্বরে ছিলেন অনুপ গুপ্ত ৷ কিন্তু, 275 নম্বরে ছিলেন সিদ্দিক গাজি ৷ তা সত্ত্বেও সিদ্দিক গাজি চাকরির নিয়োগপত্র পেয়েছেন ৷
এর পরেই অনুপ গুপ্ত আদালতে মামলা করেন ৷ সেই মামলার শুনানিতে সব নথি খতিয়ে দেখে বিচারপতি সিদ্দিক গাজিকে বরখাস্তের নোটিস পাঠিয়েছিল ৷ তার পরে এ দিন চাকরি ছাড়তে হল সিদ্দিক গাজিকে ৷ জানা গিয়েছে, 2021 সালের মার্চ মাসে সলুয়াডাঙা উচ্চবিদ্যালিয়ে অংকের শিক্ষক হিসাবে যোগ দেন সিদ্দিক ৷ ওই স্কুলের শিক্ষক মুস্তফা কামাল বলেন, ‘‘যথেষ্ট ছাত্র দরদি শিক্ষক ছিলেন ৷ টিচার্স রুমে সকলে যখন গল্গে ব্যস্ত থাকতেন, তখনও উনি ছাত্রদের খাতার কারেকশনে ব্যস্ত থাকতেন ৷ খুবই মিশুকে এবং শান্ত স্বভাবের ছিলেন সিদ্দিক গাজি ৷’’
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির জেরে এবার চাকরি খোয়ালেন মুর্শিদাবাদের সিদ্দিক গাজি আরও পড়ুন : Ankita Adhikarys job terminated: পরেশ-কন্যা অঙ্কিতার স্কুলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্টের, ফেরত দিতে হবে বেতন
মুস্তফা কামাল জানান, দু’মাস আগে এসএসসি-র তরফে নোটিস পাঠানো হয়েছিল ৷ কিন্তু, চাকরি যাবে তা তাঁরা জানতেন না ৷ বনগাঁর বাসিন্দা সিদ্দিক গাজির নিয়োগে কোনও প্রভাবশালীর হাত ছিল কি না ? তা জানা যায়নি ৷ তবে বহিষ্কৃত শিক্ষকের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি উত্তর দেননি ৷ অপরপ্রান্ত থেকে এক মহিলা কন্ঠ বারবার জানিয়েছেন, উনি বিশ্রাম করছেন ৷ কথা বলতে পারবেন না ৷