লালগোলা, 11 অগস্ট :ছাদ টপকে বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ ৷ কাঠগড়ায় প্রতিবেশী যুবক ও তার বন্ধু ৷ ওই তরুণীর দাবি, একবার ধর্ষণের পরও অভিযুক্তদের হাত থেকে রেহাই পাননি তিনি ৷ এরপর তাঁকে ভয় দেখিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয় ৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে সেই খবর পেয়ে তরুণীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন স্বামীই ৷ ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের ডাঙার মাঠ শেখপাড়া এলাকায় ৷ তদন্ত শুরু করেছে লালগোলা থানার পুলিশ ৷
আরও পড়ুন :Policeman Arrested : বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার পুলিশকর্মী
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তরুণীর স্বামী কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকেন ৷ ফলে মাঝেমধ্যেই বাড়িতে একা থাকতে হয় তরুণীকে ৷ তাঁর দাবি, দিন দশেক আগে রাতের বেলা নিজের ঘরেই ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি ৷ সেই সময়েই ছাদ টপকে বাড়িতে ঢোকে প্রতিবেশী এক যুবক ৷ সঙ্গে তার বন্ধুও ছিল ৷ যুবকের ওই বন্ধু প্রায়ই তাঁর প্রতিবেশীর বাড়িতে আসত বলে জানা গিয়েছে ৷ তরুণী কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁর ঘরে ঢুকে পড়ে দু’জন ৷ প্রতিবেশী যুবক তরুণীকে ভয় দেখিয়ে তাঁর মুখ বন্ধ রাখতে বলে ৷ আর তার বন্ধু তাঁকে ধর্ষণ করে ৷
তরুণীর দাবি, এই ঘটনার পর থেকেই তাঁকে লাগাতার ভয় দেখানো হচ্ছিল ৷ বলা হয়েছিল, এই ঘটনা জানাজানি হলেই তাঁর স্বামী ও সন্তানকে খুন করা হবে ৷ এরই মধ্যে প্রতিবেশী ওই যুবকের সঙ্গে অন্য গ্রামে তার আত্মীয়ের বাড়ি যান তরুণী ৷ প্রতিবেশীর দাবি ছিল, দেবদাসপুরের ওই আত্মীয়ের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান রয়েছে ৷ এদিকে, এই সময়েই তরুণীর মোবাইলে বারবার ফোন করেন তাঁর স্বামী ৷ কিন্তু মোবাইল বন্ধ থাকায় স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারেননি তিনি ৷ এরপর গ্রামের বন্ধুদের ফোন করে তরুণীর স্বামী জানতে পারেন, প্রতিবেশী যুবক ও তার পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে তাদের আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছেন তাঁর স্ত্রী ৷
আরও পড়ুন :Rape : ঝাড়ফুঁকের নামে কিশোরীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ওঝা
তরুণীর স্বামীর অভিযোগ, এরপর তিনি প্রতিবেশী ওই যুবককে ফোন করতেই তিনি তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন ৷ পরিস্থিতি বুঝে সটান দেবদাসপুরে পৌঁছে যান তরুণীর স্বামী ৷ সেখানে থেকেই তরুণীকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি ৷ এরপর লালগোলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় ৷ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷ গৃহবধূর অভিযোগ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কাহিনি রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে তারা ৷ বিশেষ করে তরুণী যেভাবে প্রতিবেশী যুবক ও তার পরিবারের সঙ্গে তাদের আত্মীয়ের বাড়ি পর্যন্ত চলে গেলেন, তাতে কিছুটা হলেও খটকা লেগেছে পুলিশের ৷ তাই সবদিকই যাচাই করে দেখছে তারা ৷
