বহরমপুর, 26 মে: গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে নিহত তৃণমূল নেতা ৷ ঘটনার 24 ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার অভিযুক্ত ৷ শুক্রবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে নওদা থানার পুলিশ ৷ এদিন তাকে বহরমপুর জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন । বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদের নওদা থানার রাজপুর গ্রামে গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ৷ মৃত তৃণমূল নেতার নাম মণিরুল মুন্সী (42)। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন আরও 7 জন ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গ্রামের কাঁচা রাস্তা তৈরি নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত ৷ তার জেরেই গণ্ডগোল ৷ নওদার তৃণমূল বিধায়ক গোষ্ঠীর লোকজন ও ব্লক সভাপতির গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে বচসা হয়। দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় হাতাহাতি । রড-লাঠি ও ইট নিয়ে শুরু হয় দুই পক্ষের ব্যাপক মারধর । ঘটনায় আহত হয় দুই পক্ষের প্রায় 7 থেকে 8 জন ব্যক্তি । আহতদের উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় মণিরুল মুন্সীর ।
আরও পড়ুন:তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে আহত 3, বাড়ি ভাঙচুর দিনহাটায়
মৃত মণিরুল মুন্সী নওদার তৃণমূল বিধায়ক সাহিনা মনতাজের গোষ্ঠীর লোকজন বলেই জানা গিয়েছে । যাদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠেছে তারা নওদার ব্লক সভাপতি সফিউর জামান শেখ ওরফে হাবিব মাস্টারের গোষ্ঠীর লোকজন ৷ নওদা ব্লক তৃণমূল সভাপতি সফিউর মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ আবু তাহের খানের ভাগ্নে । এর আগেও এক তৃণমূল নেতা খুনে নাম জড়িয়েছিল সফিউর জামানের বিরুদ্ধে । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নওদা থানার পুলিশ ।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে একাধিকবার শাসকদলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্ধ প্রকাশ পাচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না ৷ দলের নীচু তলার কর্মীদের মধ্যে সমন্বয় রক্ষা ও সমর্থকদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে নব জোয়ার কর্মসূচি আয়োজন ৷ দলের সর্বভারতীয় সাধরণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে কর্মীদের সঙ্গে জনসংযোগ করছেন ৷ সেই পরিস্থিতিতে দলীয় কোন্দল নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ ৷