মুর্শিদাবাদ, 24 নভেম্বর: এমন কোনও বই বা লেখা পড়েছেন যেখানে বাংলা শব্দের একটা বর্ণই ব্যবহার করা হয়েছে লেখাজুড়ে ৷ যেমন ধরুন - "পরম শ্রদ্ধায়, পরমাদরে প্রভুর পরিতৃপ্তেই প্রজার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা ৷" দেখে মাথা ঘুরে গিয়েছে নিশ্চয়ই? ভাবছেন, এমন শব্দভাণ্ডার নিয়ে কাজ করা আদৌ সম্ভব কি না! অসম্ভব এমন কাজই করে দেখিয়েছেন ফরাক্কার স্কুল শিক্ষক সঞ্জয় দাস। 'প' বর্ণ দিয়ে শব্দ সাজিয়ে ব্যতিক্রমী প্রবন্ধ লিখে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুললেন ফরাক্কার স্কুল শিক্ষক ৷
সঞ্জয়বাবু বলেন, "ধারাবাহিক প্রবন্ধের বাইরে গিয়ে কিছু সৃষ্টির ইচ্ছা ছিল বহুদিনের। শেষে অনেক ভেবে প বর্ণকে বেছে নিয়েছি। এরপর ইচ্ছা আমার ম বর্ণ দিয়ে কিছু লেখার। কারণ বাংলা শব্দ ভান্ডারে ম বর্ণের ব্যবহার বহুল।"
'প' বর্ণ দিয়ে প্রায় চারশো শব্দের প্রবদ্ধের শিরোনাম 'পূজা প্রজেশ্বর পরিকথা'। প্রতিটি শব্দের প্রথম বর্ণ 'প'। ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে নাম তুলে কার্যত এলাকায় শোড়গোল ফেলে দিয়েছেন সঞ্জয়বাবু। বাংলা বর্ণমালার অন্য বর্ণ ধরে একই ধরণের প্রবদ্ধ লেখার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন স্কুল শিক্ষক। 'প' বর্ণ দিয়ে প্রতিটা শব্দ সাজানো সঞ্জয়বাবুর প্রবন্ধ 'পূজা প্রজেশ্বর পরিকথা' এখন এলাকার মানুষের হাতে হাতে ঘুরছে। ব্যতিক্রমী এই লেখা পড়ে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন এলাকার মানুষ।
গত 1 জুন 2023এ অসমের শিলচর থেকে প্রকাশিত 'গতি' পত্রিকায় 'প্রজা-প্রজেশ্বর পরিকথা' শীর্ষক প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে। প্রবন্ধটি রচিত হয়েছে 371টি শব্দ সহযোগে। প্রতিটি শব্দ শুরু হয়েছে 'প' বর্ণ দিয়ে। সর্বাধিক 'প' আদ্যক্ষর যুক্ত শব্দ ব্যবহার করে ব্যতিক্রমী প্রবন্ধ লেখার জন্য ফরাক্কার নয়নসুখ গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলিগ্রামের ভূমিপুত্র সঞ্জয় কুমার দাস সকলের নজর কেড়ে নিয়েছেন। ফরাক্কার শিক্ষকের এমন নজিরে খুশি সকলেই ৷