মুর্শিদাবাদ, 19 এপ্রিল: প্রথমে কালবৈশাখি, পরে ভারী বৃষ্টি, তারপর শিলাবৃষ্টির জেরে ব্যাপক ক্ষতির মুখে মুর্শিদাবাদের ধান ও আম চাষিরা। বিশেষত বোরো ধান পাকার মরশুমে ঝড় ও শিলাবৃষ্টি চাষিদের মুখের হাসি কেড়ে নিয়েছে। অন্যদিকে, ঝড়ের দাপটে ঝরে গিয়েছে প্রচুর আম।
কালবৈশাখি ও শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি মুর্শিদাবাদের ধান ও আম চাষে - kalbaishakhi and Hail in Murshidabad
রবিবার বিকেল পরের পর কালবৈশাখির তাণ্ডব, ভারী বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি দেখল মুর্শিদাবাদ। এতে জেলার ধান ও আম চাষে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
জেলায় রবিবার বিকেল থেকেই শুরু হয় কালবৈশাখির তাণ্ডব। বহু জায়গায় ঝড়ের দাপটে গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। বিস্তীর্ণ অঞ্চল বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তবে ঝড়ে সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে আম চাষিদের। আজকের ঝড়ে গাছের সিংহভাগ আমই ঝরে গিয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন চাষিরা। এদিকে, রবিবার ঝড়ের দাপট কমতেই শুরু হয় বৃষ্টি ও বজ্রপাত। প্রায় আধ ঘণ্টার ভারী বৃষ্টিতে সবজি চাষেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানাচ্ছেন কৃষকরা। এরপর সন্ধ্যে নাগাদ শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। শিলার সাইজ বেশ বড় ছিল বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। 15 মিনিট ধরে চলে সেই শিলাবৃষ্টি। বোরো ধান ঘরে তোলার আগের এই শিলাবৃষ্টি ফসল তছনছ করে দিয়ে গেছে, জানাচ্ছেন চাষিরা। একদিকে যেমন পাকা ধান ঝরে গিয়েছে, পাশাপাশি বহু জমির ধানের ফুল ঝরে যাওয়ায় চলতি মরসুমে ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
একেই কোরোনা পরিস্থিতিতে তথা লকডাউনে চাষিরা ফসলের দাম পাচ্ছেন না। এরমধ্যে রবিবারের ঝড়, বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি মুর্শিদাবাদ জেলার কৃষকদের বড়সড় বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলে দিল।