কলকাতা, 12 অক্টোবর : জিয়াগঞ্জে সপরিবারে শিক্ষক খুনের ঘটনায় সরগরম রাজ্য রাজনীতি । আলোচনা চলছে জাতীয় স্তরেও । রাজ্য BJP নেতাদের দাবি, এই খুন রাজনৈতিক । RSS সদস্য হওয়াতেই স্ত্রী, শিশুপুত্র-সহ খুন করা হয়েছে বন্ধুপ্রকাশ পালকে । কিন্তু তদন্তকারীদের তরফে নবান্ন যে রিপোর্ট এসেছে তা বলছে, বন্ধুপ্রকাশের সঙ্গে RSS যোগের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি । তার পরিবারের সদস্যরাও এই বিষয়টি অস্বীকার করেছেন । শিক্ষকের আত্মীয়, বন্ধুবান্ধবরা পুলিশকে জানিয়েছেন RSS কেন, কোনও রাজনৈতিক পরিচয় ছিল না বন্ধুপ্রকাশের । তদন্তে উঠে এসেছে শিক্ষকতার পাশাপাশি আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত নানা ব্যবসাতেও জড়িত ছিলেন তিনি । স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনেরও প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ । তদন্তে এই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।
বিজয়া দশমীর দিন দুপুরে জিয়াগঞ্জে নিজের বাড়িতেই খুন হন বন্ধুপ্রকাশ পাল, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বিউটি পাল (30) ও পুত্র অঙ্গন (5) । ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁদের খুন করে আততায়ীরা । এরপরই বন্ধুপ্রকাশকে RSS কর্মী বলে দাবি করে জেলা এবং রাজ্য BJP নেতারা । তাদের দাবি এই খুন সম্পূর্ণ রাজনৈতিক । RSS করার জন্যই প্রাণ গেল ওই শিক্ষকের ।
এই সংক্রান্ত আরও পড়ুন : জিয়াগঞ্জে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও শিশুপুত্র সহ ব্যক্তিকে কুপিয়ে খুন
ঘটনা নিয়ে টুইট করেন অপর্ণা সেন । প্রকৃত তদন্তের দাবিও করেন তিনি । অন্যদিকে BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই ঘটনায় CBI তদন্তের দাবি করেছেন । এরই মাঝে নবান্নে রিপোর্ট পাঠাল তদন্তকারীরা । রিপোর্ট বলছে, এই ঘটনা নিয়ে বন্ধু প্রকাশের আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব এবং সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে । সেই জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে চেয়েছিল RSS যোগের বিষয়টি । পুলিশের দাবি, সবাই এই বিষয়টিকে ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন । এমনকী এই খুনের সূত্রের খোঁজে গোটা বাড়িতে তন্নতন্ন করে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ । সেই তল্লাশিতে কোনও কাগজপত্র পাওয়া যায়নি, যা প্রমাণ করবে বন্ধুপ্রকাশের RSS বা কোনও রাজনৈতিক যোগ ছিল । খুন হওয়া শিক্ষকের পরিবারের লোকজন এই বিষয়টির সমালোচনা করেছেন বলে নবান্নে রিপোর্ট দিয়েছে পুলিশ ।