তৃণমূল বিধায়কের কারখানাতে আয়কর হানা সামশেরগঞ্জ, 11 জানুয়ারি:বুধবার মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের আনন্দ বিড়ি কারখানা, বিজলি বিড়ি কারখানা এবং সুতিতে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) জাকির হোসেনের শিব বিড়ি কারখানাতে হানা দেয় আয়কর দফতর ৷ এছাড়াও বেশ কয়েকটি বিড়ি কারখানাতে এদিন ইনকাম ট্যাক্ট ডিপার্টমেন্ট হানা দেয় (Income Tax Raid in TMC MLA Jakir Hossain's Factory)। বেলা 11টা নাগাদ জাকির হোসেনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হানা দেয় আয়কর দফতরে এক প্রতিনিধি দল।
প্রথমে বিএসএফ জওয়ানদের দ্বারা কার্যত ঘিরে ফেলা হয় কারখানার চারিদিক। দফায় দফায় বেশ কয়েকটি গাড়িতে করে হানা দেন ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের বেশ কয়েকজন আধিকারিক। আচমকা কেন্দ্রের আয়কর দফতরের হানায় চাঞ্চল্যের ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। আয়কর দফতরের ওই প্রতিনিধি দল এখনও অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। সূত্রের খবর, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি ইতিমধ্যে তদন্তকারীদের হাতে এসেছে বলেই জানা গিয়েছে ৷ পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি বিড়ি কারখানাতেও হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। কয়েকটি দলে ভাগ হয়েই তদন্ত শুরু করেছে আয়কর দফতর ৷
শুধু রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর শুধু বিড়ির কারখানা নয়, জাকির হোসেনের বাড়ি, তেল মিল ও রাইস মিলেও চলছে আয়কর দফতরের তল্লাশি। সূত্র মারফত জানতে পারা গিয়েছে, শিল্পপতি জাকির হোসেনের সংস্থায় বহু টাকার আয়কর জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। পুরো এলাকা বিএসএফ জওয়ান দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। কাউকে বাড়ি বা কারখানায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। পাশপাশি কাউকেই বাড়ি বা কারখানা থেকে বেরিয়ে আসতেও দেওয়া হচ্ছে না । জাকির হোসেন বাড়তে রয়েছেন কি না, তাও জানা যায়নি। তাঁকে বারবার ফোন করেও কোনও উত্তর মেলেনি।
আরও পড়ুন:মহারাষ্ট্রের একটি সংস্থায় তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার 390 কোটি টাকা !
অন্যদিকে, এলাকার বিধায়কের বাড়িতে সকাল থেকে তল্লাশির ঘটনায় এলাকার মানুষজন একাধিক প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। যদিও এই বিষয়ে তৃণমূলের কোনও শীর্ষ নেতৃত্ব মুখ খুলতে চাননি। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, যতক্ষণ না-পুরো নথি নাচাই করে দেখা হবে ততক্ষণ তল্লাশি অভিযান জারি থাকবে। উল্লেখ্য, কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI), ইডি (ED) নিয়ে তৃণমূল বারবার বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এখনও কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে রয়েছেন। এরমধ্যে রাজ্যের আরও এক তৃণমূল বিধায়ক চলে এল আয়কর দফতরের র্যাডারে।