বহরমপুর, 10 ডিসেম্বর: বই কিনলে মিলছে রকমারি ফল, ফুল-সহ নানা গাছের চারা। সবুজ বাঁচাও অভিযানে নেমে বহরমপুর বইমেলা থেকে বইপ্রেমীদের এই গাছ উপহার দিচ্ছেন প্রকৃতিপ্রেমী অর্ধেন্দু বিশ্বাস। রবিবার ছুটির দিন বহরমপুর বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে 1200 গাছের চারা তুলে দিলেন অর্ধেন্দু বিশ্বাস। বইমেলার শেষদিনও সমপরিমাণ বা তার বেশি গাছের চারা তুলে দেওয়া হবে বলেই প্রতিশ্রুতি দিলেন অর্ধেন্দুবাবু।
শনিবার থেকে বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়ার ময়দানে শুরু হয়েছে 43তম জেলা বইমেলা। বইমেলার উদ্বোধন করেন গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। আগামী 15 ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই বইমেলা। বইমেলার দ্বিতীয় দিনেই গাছের চারা নিয়ে হাজির হয়েছিলেন অর্ধেন্দু বিশ্বাস। মেলার যে কোনও স্টল থেকে একটি বই কিনলেই মিলছে পছন্দের একটি গাছের চারা। সেই তালিকায় রয়েছে আম, জাম, পেয়ারা, লিচু, বেদানা, মেহগনি, শাল, সেগুন-সহ শীতকালীন নানাবিধ ফুল গাছের চারা।
রয়েছে হরেক রকমের পাতাবাহার গাছের চারাও। বই প্রেমীরা তাঁদের পছন্দ মতোই গাছের চারা পাচ্ছেন। বই কিনে পেয়ারা গাছের চারা সংগ্রহ করে মৌমিতা সাহা বলেন, "বই ভালোবাসি তাই বই কিনেছি। সবুজ বাঁচাও, পরিবেশ রক্ষা কর অভিযানে আমিও শামিল হতে চাই।" গত কয়েক বছর ধরে সবুজ বাঁচাও অভিযান চালিয়ে আসছেন অর্ধেন্দু। বহরমপুরে যেকোনও মেলা খেলায় বা বিবাহ, অন্নপ্রাশন অনুষ্ঠানে নিজের পকেটের খরচায় গাছের চারা নিয়ে হাজির হন অর্ধেন্দু বিশ্বাস।
এবার বহরমপুর বই মেলায় কার্যত সাড়া ফেলে দিয়েছেন পেশায় শিক্ষক অর্ধেন্দুবাবু। তিনি জানিয়েছেন, সবুজ বাঁচাও অভিযানে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৷ উল্লেখ্য, গতবার এই বইমেলা নিয়ে গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী জানিয়েছিলেন, 2022 সালে সারা রাজ্যে বই বিক্রির নিরিখে মুর্শিদাবাদ জেলা প্রথমস্থানে ছিল।
আরও পড়ুন:
- শান্তিনিকেতনকে চন্দনের অরণ্যে রূপান্তরের ভাবনা, চারা বিতরণ বন বিভাগের
- গাছে রাখি ও পোস্টার বেঁধে অরণ্যরক্ষার বার্তা চিকিৎসকের, এগিয়ে এলেন গ্রামবাসীরা
- করমণ্ডলের করুণ কাহিনী গাছের পাতায় ফুটিয়ে তুললেন কলকাতার ঋকদীপ