হাইকোর্টের নির্দেশেও বাড়ি ঢুকতে পারলেন না স্বামী-সহ শ্বশুর-শাশুড়ি কান্দি, 23 জুলাই: স্বামী-সহ শ্বশুর-শাশুড়িকে বাড়ি ছাড়া করার অভিযোগ উঠেছিল বধূর বিরুদ্ধে ৷ বাধ্য হয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা ৷ আদালতের নির্দেশে বাড়িতে ঢুকতে গেলেও মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দিলেন বধূ ৷ এমনই ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদের কান্দি মহকুমার পার্বতীপুর গ্রামে। পুলিশের তরফে একাধিকবার বোঝানো হলেও কোনও কথাই শুনতে নারাজ স্ত্রী।
জানা গিয়েছে, পার্বতীপুরের বাসিন্দা জিয়ারুল রহমানের সঙ্গে 2006 সালের 23 ডিসেম্বর বিয়ে হয় বীরভূমের মোল্লারপুরের সনোকপুর গ্রামের বাসিন্দা কবিতা ইসমাতারার । বিয়ের 2 বছর পর থেকেই শুরু হয় অশান্তি । তাঁদের একটি 14 বছরের মেয়ে এবং 9 বছরের ছেলে রয়েছে । কিন্তু সংসারে অশান্তি এতটাই চরমে ওঠে যে কবিতা তাঁর স্বামী এবং শ্বশুর-শাশুড়িকে 1 বছর আগে ঘর ছাড়া করেন বলে অভিযোগ ।
এরপর 2022 সালের অগস্ট মাসে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা । দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা অন্য জায়গায় বসবাস করছিলেন ৷ তবে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার পর শেষমেশ কবিতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান এবং আদলতে মামলা করেন । হাইকোর্ট রায় দেয় পুলিশি হস্তক্ষেপে এই তিনজন নিজেদের বাড়ি ফিরে যাবেন। অভিযুক্ত সমস্যা সৃষ্টি করলে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে ।
সে মতো শনিবার জিয়ারুল রহমান তাঁর বাবা সামসুর জোহা এবং মা মমতাজ বেগমকে নিয়ে পার্বতীপুরে পুলিশের উপস্থিতিতে নিজের বাড়িতে যান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কান্দি মহকুমা আদালতের আইনজীবীও। কিন্তু বাড়ি ঢুকতে গেলে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। পুলিশের অনুরোধেও কাজের কাজ হয়নি। বাধ্য হয়ে ফিরে আসতে হয় তাঁদের ।
এই বিষয়ে জিয়ারুলের বাবা সামসুর জোহার জানান, নিজের বাড়ি ফিরে পেতে চান বলেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু ফেরা হল না। এদিকে অন্য সুর শোনা গেল কবিতা ইসমাতারার কথায় ৷ তাঁর দাবি, তিনি কাউকেই বাড়ি থেকে বের করে দেননি । স্বামী 6 বছর আগে আবারও বিয়ে করেছেন বলেই তাঁর বাবা ও মা-কে নিয়ে চলে গিয়েছেন । কিন্তু তিনি শ্বশুরবাড়িতেই থাকবেন । ছেলেমেয়ে নিয়ে যাওয়ার অন্য কোনও জায়গা নেই।
আরও পড়ুন : লেবু বেচতে হাটে গিয়ে মিথ্যে অপবাদে হেনস্থার শিকার, দাবি নির্যাতিতার মেয়ের
অন্যদিকে, জিয়ারুলের দাবি তিনি আর বিয়ে করেননি । আদালতের রায় অমান্য করে তাঁদের বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হল না। তাঁর অভিযোগ, পুলিশি হস্তক্ষেপও সে অর্থে দেখা যায়নি। কান্দি থানা থেকে আসেনি কোনও মহিলা পুলিশও । একজন অফিসার ও কনস্টেবল ঘটনাস্থলে এসে সমস্যা সামাধানের চেষ্টা করেন। পাশাপাশি, জিয়ারুলের আইনজীবী মাকসাদ হোসেন জানান, পুলিশ সহযোগিতা করলেও অভিযুক্ত মহিলা কোনওভাবেই কথা শুনতে নারাজ ।