Nimtita Blast : নিমতিতা বিস্ফোরণ কাণ্ডে এনআইএ-র চার্জশিটে হতাশ প্রাক্তন মন্ত্রী

মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) নিমতিতা বিস্ফোরণ কাণ্ডে (Nimtita Blast) এনআইএর চার্জশিটে (NIA Charge Sheet) হতাশ প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেন (Zakir Hussain)৷ মূল অভিযুক্তকে আড়াল করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি ৷

জঙ্গিপুর, 25 অগস্ট :মুর্শিদাবাদে(Murshidabad) জঙ্গিপুর-নিমতিতা বিস্ফোরণ (Nimtita Blast) কাণ্ডে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র দাখিল করা চার্জশিটে (NIA Charge Sheet) হতাশ প্রাক্তন শ্রমমন্ত্রী জাকির হোসেন (Zakir Hussain)। প্রাক্তন মন্ত্রীর অভিযোগ, বিস্ফোরণ কাণ্ডে প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার না-করে উল্টে তাদের আড়াল করা হচ্ছে । জঙ্গিপুরের প্রাক্তন বিধায়কের ক্ষোভ, এতদিন ধরে তদন্ত চালিয়ে এনআইএ প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করতে পারেনি । যে দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা মূল অপরাধী নয় । বিস্ফোরণ কাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন সেই বিস্ফোরণে গুরুতর আহত জাকির হোসেন ।

চলতি বছরের 17 ফেব্রুয়ারি নিমতিতা স্টেশনে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিস্ফোরণ কাণ্ডে মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে চার্জশিট জমা দিয়েছে এনআইএ ৷ চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, বিস্ফোরক হিসেবে আইইডি ব্যবহার করা হয়েছিল । চার্জশিটে এই ঘটনায় জড়িত বোমারু আব্দুল সামাদ ও কেমিক্যাল সাহিদুল ইসলামের নাম রয়েছে । যদিও জাকির হোসেন শুরু থেকেই তদন্তকারী দলের কাছে মূল অভিযুক্ত হিসেবে সুতির বিধায়ক ইমানি বিশ্বাসের দিকেই ইঙ্গিত করেছিলেন ।

বিশেষ করে এসএসকেএম থেকে এক ভিডিয়ো বার্তায় জাকির হোসেন দাবি করেছিলেন যে, এর পেছনে ইমানি বিশ্বাসের হাত রয়েছে ৷ এই বিবৃতির উপর গুরুত্ব দিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে পরপর দুবার ইমানি বিশ্বাসকে তলব করেছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা ।

কিন্তু এনআইএ-র চার্জশিটে ইমানি বিশ্বাসের নাম না-থাকায় তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন মন্ত্রী । ক্ষোভ প্রকাশ করে ফের ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন জঙ্গিপুরের প্রাক্তন বিধায়ক । তাঁর বক্তব্য, ঘটনায় জড়িত প্রকৃত দোষীদের আড়াল করা হচ্ছে ।

বিধানসভা নির্বাচনের আগে হঠাৎই খবরের শিরোনামে উঠে আসে মুর্শিদাবাদের নিমতিতা ৷ চলতি বছরের 17 ফেব্রুয়ারি কলকাতা যাওয়ার পথে ভয়াবহ হামলার মুখে পড়েন রাজ্যের শ্রম দফতরের তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন ৷ ট্রেন ধরার জন্য তিনি স্টেশনের 2 নম্বর প্ল্যাটফর্মে পৌঁছতেই ঘটে বিস্ফোরণ ৷ সেই বিস্ফোরণে মোট 12 জন জখম হন ৷ আহতদের মধ্যে জাকিরও ছিলেন ৷ চিকিৎসার জন্য তাঁদের সবাইকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷

ঘটনার পর তদন্ত শুরু করে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা দফতর, এসটিএফ ও সিএফএসএল ৷ অনুজ শর্মার নেতৃত্বে গঠিত হয় সিট ৷ মাত্র 10 দিনের মধ্যে হামলায় জড়িত সন্দেহে আবদুল সামাদ ওরফে বোমারু সামাদ নামে এক ব্য়ক্তিকে গ্রেফতার করে সিআইডি ৷ সুতি থেকে তাকে পাকড়াও করা হয় ৷ আবদুল সামাদকে জেরা করে ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার করা হয় সাহিদুল ইসলাম ওরফে কেমিক্যাল সাহিদুলকে ৷ ঘটনার দু’সপ্তাহ পর তদন্তভার গ্রহণ করে এনআইএ ৷