বহরমপুর, 19 মে : তিরিশ ঘণ্টা বাড়িতেই পড়ে থাকল করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধার মৃতদেহ। দুর্গন্ধে ও আতঙ্কে পাড়া ছাড়ল প্রতিবেশীরা। মৃতদেহ সৎকারে এগিয়ে এল না মৃতের ছেলেও। অবশেষে বহরমপুর থানার পুলিশের হস্তক্ষেপে মৃতদেহ দাহ করা হল। এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল বহরমপুর পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের বাদিন্দারা। মৃতার নাম শিখা সাহা (80)।
বহরমপুর পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের পাতালেশ্বরে একাই থাকতেন শিখা সাহা। ছেলে থাকতেন অন্য পাড়ায়। প্রতিবেশীদের দাবি, গত দুদিন ওই বৃদ্ধাকে বাড়ি থেকে বার হতে দেখেননি কেউ। দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করায় প্রতিবেশীরা বৃদ্ধার বাড়ি গিয়ে উকিঝুঁকি মারতে শুরু করেন ৷ তারই মাঝে এক প্রতিবেশী জানালার ফাঁক দিয়ে মশারির ভিতর বৃদ্ধার পচাগলা দেহ দেখতে পান ৷ সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধার ছেলেকে খবর দেওয়া হয় ৷ মৃত্যুর খবর পেয়েও মায়ের মৃতদেহ সৎকারে অনীহা দেখান ছেলে ৷
করোনায় মৃতের দেহ 30 ঘণ্টা পড়ে বাড়িতে, সৎকারে অনীহা ছেলের
রাজ্যে করোনার বাড়বাড়ন্ত ৷ এই পরিস্থিতিতে পর হচ্ছে আপন আর আপন হচ্ছে পর ৷ এরকমই ঘটনা ঘটল বহরমপুর পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডে ৷ তিরিশ ঘণ্টা ধরে বৃদ্ধার পচাগলা দেহ দেখে আতঙ্কে ও দুর্গন্ধে পাড়া ছাড়ল প্রতিবেশীদের একাংশ ৷ এগিয়ে এল না বৃদ্ধার ছেলেও ৷ শেষে বহরমপুর থানার পুলিশ এসে মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় ৷
30 ঘণ্টা পড়ে রইল করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধার দেহ
প্রতিবেশীরাই খবর দেন বহরমপুর থানায় ৷ পুলিশ এসে মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় ৷ ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি পাঠালে জানতে পারা যায় বৃদ্ধার দেহে করোনা ভাইরাসের চিহ্ন মিলেছে ও প্রায় তিরিশ ঘণ্টা আগে প্রাণ হারিয়েছেন তিনি ৷ পুলিশের তরফে মৃতার ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর ৷
আরও পড়ুন :দেখা করতে আসুক স্ত্রী-সন্তানরা, চান না শোভন