কান্দি, 11 ফেব্রুয়ারি: চলছে প্রেম সপ্তাহ ৷ প্রেমিকাকে পাশে নিয়ে সবে ধোঁয়া ওঠা পেয়ালায় চুমুক দিয়েছেন, পিছন ফিরতেই কার্যত পিলে চমকানোর জোগাড় মুর্শিদাবাদের এই প্রেমিকের। যখন বান্ধবীর সঙ্গে চায়ের আড্ডায়, পিছনে দাঁড়িয়ে বিবাহিত স্ত্রী! স্বামীর বিবাহ-বহির্ভূত প্রেমের সম্পর্কের অভিযোগে কার্যত হুলুস্থূল কান্দির হাসপাতাল চত্বর। কিছুক্ষণের মধ্যেই আশপাশ থেকে জড়ো হয়ে যান কয়েকশো মানুষ। গণ্ডগোল থামাতে হস্তক্ষেপ করতে হয় পুলিশকে। শেষমেশ প্রেমিকা, স্ত্রী ও ওই ব্যক্তিকে আটক করে নিয়ে যায় কান্দি থানার পুলিশ। বিকেল থেকে ত্রিকোণ প্রেমের চিত্রনাট্যে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়াল কান্দি এলাকায় (Extramarital Affair at Kandi)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম থানার বাসিন্দা ফরিদুল ইসলাম। 2013 সালের 31 সেপ্টেম্বর খড়গ্রাম এলাকার কাটনা গ্রামের যুবতী রাজনা খাতুনের সঙ্গে ভালোবেসে বিয়ে করেন ফরিদুল। রাজনা বিবির দাবি, হাতেনাতে ধরে ফেলা ওই মহিলা নাকি, তাঁর স্বামীর 'লিভ ইন পার্টনার'। ফরিদুলের বান্ধবী বহরমপুর পঞ্চাননতলার সুদীপ্তা ঘোষের দাবি, কিছুই জানতেন না তিনি ! সুদীপ্তার দাবি, "যাকে ফরিদুল বলা হচ্ছে তিনি আমাকে শান্তনু চক্রবর্তী বলে নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন। বহরমপুরের একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতে গিয়ে পরিচয় সেখান থেকে ভালোবাসা, বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল।"