বহরমপুর, 4 সেপ্টেম্বর : সাংবাদিক বৈঠকে ফের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ অধীর চৌধুরির । মুর্শিদাবাদ থেকে বালির কাটমানি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যায় বলে সরাসরি অভিযোগ করেছেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ । অধীরবাবু বলেন, ‘‘প্রশাসন আর তৃণমূলের নেতারা মিলে লুট করছে । তৃণমূলের নেতারা বালির কাটমানি তুলছে । দিদিমণি সেই টাকা খাচ্ছেন । তাই বালির দাম হু হু করে বাড়ছে ।’’
বালির কাটমানির টাকা দিদিমণির কাছে যায়: অধীর - মুখ্যমন্ত্রী
প্রতিদিন কয়েকশো বালি বোঝাই লরি ময়ূরাক্ষী নদীর বিভিন্ন ঘাট থেকে ওঠে । সম্প্রতি কান্দি- বহরমপুর রাজ্য সড়কের উপর রণগ্রাম সেতু বন্ধ থাকায় বালির লরি শেরপুর থেকে জীবন্তি হয়ে বহরমপুর ঢুকত । ওই রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ায় মাস চারেক থেকে বালির লরি মোড়গ্রামে জাতীয় সড়কে উঠে প্রায় 50 কিমি ঘুরে বহরমপুর ঢোকে । মোড়গ্রামেই এক শ্রেণির তোলাবাজ বালির লরি প্রতি চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা কাটমাণি তোলে বলে অভিযোগ করেন মালিকরা ৷
বড়ঞা ব্লকের ময়ূরাক্ষী নদী জেলা ও জেলার বাইরে সিংহভাগ বালির চাহিদা মেটায় । প্রতিদিন কয়েকশো লরি ময়ূরাক্ষী নদীর বিভিন্ন ঘাট থেকে ওঠে । সম্প্রতি কান্দি- বহরমপুর রাজ্য সড়কের উপর রণগ্রাম সেতু বন্ধ থাকায় বালির লরি শেরপুর থেকে জীবন্তি হয়ে বহরমপুর ঢুকত । ওই রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ায় মাস চারেক থেকে বালির লরি মোড়গ্রামে জাতীয় সড়কে উঠে প্রায় 50 কিমি ঘুরে বহরমপুর ঢোকে । মোড়গ্রামেই এক শ্রেণির তোলাবাজ বালির লরি প্রতি চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা কাটমাণি তোলে বলে অভিযোগ করেন মালিকরা ৷ একদিকে তোলাবাজদের খপ্পর ও পাশাপাশি জাতীয় সড়কে টোল দিতে হওয়ায় বহরমপুরে লরি প্রতি বালির দাম দশ হাজার টাকা পর্যন্ত চড়েছে ।
অধীরবাবুর অভিযোগ, মোড়গ্রামে তোলাবাজিতে প্রশাসন থেকে তৃণমূলের নেতারা জড়িত আছে । তার জন্যই শেরপুর জীবন্তি রাজ্য সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । বাধ্য হয়ে বালির লরিগুলিকে মোরগ্রাম হয়ে আসতে হচ্ছে । শুক্রবার বহরমপুর জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে অধীর চৌধুরি বলেন, ‘‘তৃণমূল নেতা আর প্রশাসন মিলে সারা রাজ্যে লুট চালাচ্ছে । সবেতেই তৃণমূল নেতারা জড়িত । বালির কাটমানির টাকা দিদিমণি পর্যন্ত পৌঁচ্ছাছে । দিদিমণি নিজে বালির কাটমানি খাচ্ছেন । ফলে সরকারি রাজস্ব কিন্তু বাড়ছে না ।’’