মুর্শিদাবাদ, 17 ডিসেম্বর: শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতি নিয়ে সরব হলেন ফরাক্কার সৈয়দ নুরুল হাসান কলেজের সহকারী অধ্যাপক ৷ টাকার বিনিময়ে কলেজের ভিতরে স্টেট এলিজিবিলিটি টেস্ট বা সেট পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি ৷ ঘটনাটি সরাসরি ফেসবুক লাইভ করতে তা ভাইরাল হয়ে যায় সোশাল মিডিয়ায় ৷ মোটা টাকার বিনিময়ে পরীক্ষার্থীদের সুবিধা পাইয়ে দিতেই আলাদা পরীক্ষার ব্যবস্থা নেওয়ার অভিযোগ প্রিন্সিপ্যালের বিরুদ্ধে। যদিও ভাইরাল ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত।
কলেজের সহকারী অধ্যাপক সুজয় মণ্ডল অভিযো করে বলেন, "ফার্স্ট হাফের পরীক্ষা সাড়ে 10টা থেকে ছিল ৷ পাশের বিল্ডিংয়ে ডিউটি ছিল আমার ৷ আর একটি বিল্ডিংয়ে খাতা জমা দেওয়ার পর দেখলাম ক্যান্টিন প্যাসেজে একটি ঘরে তালা মারা ৷ তারপর চিৎকার শুরু করি ৷ তবে খবর আগে থেকে পেয়েছিলাম ৷ গোপনে ক্যান্টিন প্যাসেজে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে ৷ সেটাই লাইভ ভিডিয়ো করে প্রতিবাদ করি ৷"
পরীক্ষার্থী সত্যবান মণ্ডল ও প্রবীর সরকার জানান, এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে তা খুবই লজ্জাজনক ৷ দুর্নীতি হচ্ছে ৷ যাঁরা যোগ্য তাঁরা পরীক্ষা দিয়েও লাভ পাবে না ৷ অবিলম্বে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও কলেজ সার্ভিস কমিশনকে গুরুতর ব্যবস্থা নিতে হবে ৷ এই রকম চলতে থাকলে সেটের পরীক্ষাই দেওয়া হবে ৷ আদৌও কেউ চাকরি পাবে না ৷ অন্যদিকে, কলেজ পরিচলন কমিটির এক সদস্য বলেন, "ঘটনার কথা শুনেছি ৷ এটা কলেজ সার্ভিস কমিশনের ব্যাপার ৷ আমিও ফেসবুক লাইভে দেখেছি ৷ যিনি অভিযোগ করেছেন তিনি কলেজের একজন অধ্যাপক ৷ এই বিষয়টা কলেজ সার্ভিস কমিশন দেখবে৷ এখানে কলেজের কোনও ব্যাপার নেই ৷ কলেজ শুধু পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে ৷ এই বিষয়ে প্রিন্সিপ্যাল বা যাঁরা কর্তৃপক্ষ রয়েছেন, কলেজ সার্ভিস কমিশনের নিশ্চই কোনও ইনচার্জ রয়েছেন তাঁরা এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে ৷"
রবিবার 25তম সেটের পরীক্ষা ছিল। কলেজ সার্ভিস কমিশনের পরিচালনায় চলেছে এই পরীক্ষা। 33টি বিষয়ে পরীক্ষা হচ্ছে। রাজ্যে মোট 111টি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসেন 80 হাজার চাকরিপ্রার্থী। মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা নুরুল হাসান কলেজে ছিল পরীক্ষা কেন্দ্র। ওই কেন্দ্রের একটি ঘরে পরীক্ষার্থীদের বসিয়ে বাইরে থেকে তালা দিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অভিযোগ টাকার বিনিময়ে পরীক্ষার্থীদের সুবিধা পাইয়ে দিতেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। কলেজেরই এক সহকারি অধ্যাপক ঘটনার ভিডিয়ো নিজের ফেসবুক পেজে লাইভ করতেই তা ভাইরাল হতে শুরু করে। সোশাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠে ৷ যদিও এই বিষয়ে মুখ খোলেননি কলেজ কর্তৃপক্ষ।