সামশেরগঞ্জ, 3 সেপ্টেম্বর: ফের গঙ্গায় ভাঙনের জেরে নদীগর্ভে তলিয়ে গেল আটটি বাড়ি সহ BSF-র চৌকি । গতকাল রাতে ভাঙন শুরু হয় ৷ ভাঙনের জন্য সেচ দপ্তর ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেই দায়ি করেছেন বহরমপুরের কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরির ৷
আজ সামশেরগঞ্জের ভাঙন পরিস্থিতিতে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন কংগ্রেস নেতা । তিনি বলেন, "মুর্শিদাবাদ জেলায় দুটি অভিশাপ আছে ৷ একটা ভাঙন অপরটা প্লাবণ ৷ মূলত বর্ষাকালে ভাঙন দেখা দেয় ৷ আর বর্ষা মানেই মাটির বস্তা পড়বে আর সেই বস্তা জলে তলিয়ে যাবে ৷ আবার বস্তা পড়বে, জলে তলিয়ে যাবে ৷ আর পকেট ভরতি হবে প্রশাসনের আধিকারিকদের, নেতার, অফিসারদের"
এতেই থামেননি ৷ সেচ দপ্তর ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আক্রমণ করেন তিনি ৷ তিনি বলেন, " রামকৃষ্ণ বহুদিন আগেই বলেছিলেন টাকা মাটি, মাটি টাকা ৷ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তা প্রমাণ করে দিয়েছেন ৷ মুখ্যমন্ত্রী অন্তত সেচ দপ্তরকে বোঝাতে পেড়েছেন ঠাকুরের বাণীর মাহাত্ম ৷ মাটি মানেই যে টাকা, আর টাকা মানেই যে মাটি ৷ ভাঙনে মানুষ মরুক, নেতা-মন্ত্রী, প্রশাসনিক কর্তা, অফিসারদের পকেটে টাকা ঢুকুক ৷"
গঙ্গায় ভাঙন নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য সরকারের ভূমিকায় ক্ষোভপ্রকাশ অধীরের টানা দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে সামশেরগঞ্জ থানার অন্তর্গত একাধিক এলাকায় ভাঙন অব্যাহত । গতকাল রাতে সামশেরগঞ্জ থানার নতুন শিবপুর গ্রামে ফের গঙ্গায় ভাঙন দেখা দেয় ৷ নদীগর্ভে তলিয়ে যায় আটটি বাড়ি । তলিয়ে যায় গবাদি পশু সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী । BSF জওয়ানদের সতর্কতায় প্রাণে বাঁচেন এলাকার কয়েকজন মানুষ ।
জলমগ্ন হয়েছে একাধিক চাষের জমি । বাড়ি ভেঙে ইট, আসবাবপত্র অন্যস্থানে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেছেন এলাকার বাসিন্দারা । যাদের বাড়ি-ঘর গঙ্গাবক্ষে তলিয়ে গিয়েছে, তাদের কেউ আশ্রয় নিয়েছেন গাছতলায়, ত্রিপলের নিচে তো কেউ আবার আত্মীয়ের বাড়িতে । যদিও সকাল থেকে প্রশাসনের তরফে কেউ পরিস্থিতি পরিদর্শনে আসেননি বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের ৷