বহরমপুর, 17 এপ্রিল: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা গ্রেফতার হতেই তাঁকে নিশানা করে মুখ খুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী ৷ জীবনকৃষ্ণকে 'বাবাজীবন' বলে সম্বোধন করে তাঁর বক্তব্য, জীবনকৃষ্ণ একা দুর্নীতি করেননি ৷ এর সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত রয়েছেন ৷ তাঁদেরও সামনে আনা দরকার ৷ সকলের শাস্তি হওয়া দরকার ৷ আর এই প্রসঙ্গেই অধীর দাবি করেন, দুর্নীতিতে জীবনকৃষ্ণের হাতেখড়ি হয়েছে বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা কেষ্ট মণ্ডল বা অনুব্রতর কাছে ! অধীরের কথায়, "বীরভূমের বাঘ বাবাজীবনকে চুরি করা শিখিয়েছে !"
সোমবার বহরমপুরে কংগ্রেসের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অধীর ৷ সেখানেই জীবনকৃষ্ণ সাহার গ্রেফতারি নিয়ে নানা কথা বলেন তিনি ৷ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির বক্তব্য, জীবনকৃষ্ণকে যে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেটা এদিন প্রকাশ্যে এলেও সিবিআই আসলে অনেক আগেই বিধায়ককে আটক করে নিজেদের হেফাজতে রেখেছিল ৷ অধীরের যুক্তি, শুক্রবার থেকে জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান শুরু হয় ৷ বিধায়ককে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ৷ তাঁর বাড়িতেই এসব হচ্ছিল ৷ অথচ সিবিআই তাঁকে বাড়ির খাবার খেতে দেয়নি ৷ তাঁর জন্য বাইরে থেকে খাবার আনিয়েছিলেন তদন্তকারীরা ৷ সিবিআই আধিকারিকদের এই পদক্ষেপ থেকেই স্পষ্ট ছিল, জীবনকৃষ্ণকে তাঁরা কার্যত আটক করেছেন এবং তাঁকে গ্রেফতার করাটা নেহাতই সময়ের অপেক্ষা ৷