রানিনগরের ঘটনায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ অধীরের রঘুনাথগঞ্জ, 9 সেপ্টেম্বর: রানিনগর থানায় হামলার ঘটনায় ক্ষমা চেয়ে নিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। ঘটনায় দুঃখ প্রকাশও করেছেন তিনি। পাশাপাশি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে গ্রেফতার করার পিছনে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র আছে বলেই মনে করছেন দুঁদে রাজনীতিবিদ ৷ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে গ্রেফতারের ঘটনায় জেলাজুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামারও হুমকি দিয়েছেন বহরমপুরের সাংসদ।
অধীরবাবুর অভিযোগ, রানিনগর-2 পঞ্চায়েত সমিতি কংগ্রেস দখল নিয়েছে। তৃণমূল চাইছিল ওলটপালট করার জন্য। কিন্তু হাতে কোনও অস্ত্র পাচ্ছিল না। আগামী 11 সেপ্টেম্বর পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠন আছে। তার আগে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করে সেখানকার নির্বাচিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে গ্রেফতার করা করা হয়েছে। অতচ উনি ঘটনাস্থলেই ছিলেন না। সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, "রানিনগরের ঘটনা অনভিপ্রেত ৷ শান্তিপূর্ণভাবে সেখানে সভা হয়েছে ৷ সেখানে পুলিশ ছিল, তারাও জানেন ৷ আমাদের সভায় কোনও অশান্তি হয়নি ৷ কোন হিংসা হয়নি ৷ মানুষ স্বেচ্ছায় এসেছে, সভা শুনেছে ৷ খুশি ও আনন্দের বাতাবরণ ছিল ৷ সেই সময় একটি মিছিল আসছিল ৷ সেখানকার কিছু পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ারের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয় ৷ সেই মিছিলে কিছু মানুষ আহত হন ৷ অপমান করা হয় ৷ এইভাবেই উত্তেজনার শুরু ৷ এবার সেই খবর যখন মাঠের সভায় পৌঁছয়, তখন সেখানকার কিছু মানুষ উত্তেজিত হয়ে ওঠেন ৷ আমরা তাঁদের অনেককে থামানোর চেষ্টা করেছি ৷ উত্তেজিত মানুষদের থামাতে গিয়ে আমাদের নেতানেত্রীরাও মার খেয়েছেন ৷ পুলিশকে আক্রমণ করার মনোভাব নিয়ে আমরা কোনও সভা করিনি ৷"
আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ রানিনগর, তৃণমূল পার্টি অফিসে আগুন; মোতায়েন পুলিশ
এরপরেই তিনি হুমকি দেন যে পুলিশ যদি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে না-ছাড়ে, তাহলে জেলাজুড়ে আন্দোলন শুরু হবে ৷ পুরো ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার রানিনগর থানায় ভাঙচুর ও তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় রানিনগর-2 পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুদ্দুস আলি-সহ বাম-কংগ্রেসের 35 জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট-সহ প্রাণহানির চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। ধৃতদের শনিবার আদালতে পাঠানোর পাশাপাশি ধরপাকড়ের প্রক্রিয়া এখনও চলছে।