মালদা, 16 জানুয়ারি: প্রেমের সম্পর্কে রাজি না-হওয়ায় ছাত্রীর গলা কেটে খুনের চেষ্টা যুবকের। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদা ব্লকের আটমাইল এলাকায়। বর্তমানে আক্রান্ত ছাত্রী আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মালদা থানার পুলিশ। আক্রান্ত ছাত্রীর বয়স 13 বছর ৷
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচিং সেন্টারে পড়াকালীন এলাকারই বছর তেইশের এক যুবক ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় । কিন্তু নাবালিকা সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি । তাকে ভয় দেখিয়ে রাজি করাতে খুনের হুমকিও দিয়েছিল অভিযুক্ত ।
মঙ্গলবার দুপুরে স্কুল ছুটির পর দিদি ও বান্ধবীদের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল নাবালিকা। সেই সময় ওই যুবক ছুরি দিয়ে সুদীপার গলায় আঘাত করে। স্থানীয় লোকজন তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যালে ভরতি করেন । বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই ছাত্রী । এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত যুবক ও তার বাড়ির লোকজন পলাতক বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ।
এই বিষয়ে আক্রান্ত ছাত্রীর দিদি বলেন, "বোন ওই ছেলেকে দেখতে পেয়েই আমাদের তাড়াতাড়ি যেতে বলে। সেই মতো আমরা তাড়াতাড়ি হাঁটছিলাম । হঠাৎ পিছন থেকে ওই ছেলে এসে গলায় ছুরি ধরে। পরে রাস্তায় ফেলে বোনের গলা কেটে দেয় ৷ এর আগে ও বোনকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল । কিন্তু প্রেমের সম্পর্কে রাজি না-হওয়ায় জোর করে রাজি করানোর চেষ্টা করে। খুনের হুমকি দিয়েছিল।"
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার কথায়, "দুপুর বারোটা নাগাদ স্কুল ছুটির পর বাচ্চারা বেরিয়ে যায়। আমরা অফিসে ছিলাম । হঠাৎ চিৎকার শুনতে পাই । বাইরে ছুটে এসে দেখি একটি মেয়ের গলা কেটে দেওয়া হয়েছে। ছেলেটা ততক্ষণে পালিয়ে যায় । পরে শুনতে পাই ছেলেটি স্থানীয়। বেশ কিছুদিন ধরে মেয়েটিকে উত্যক্ত করছিল। আমাদের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। আমরা মেয়ের বাড়ির সঙ্গে কথাও বলেছিলাম । কিন্তু কখনও ভাবিনি এই পরিস্থিতি দাঁড়াবে। ওই মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ছেলেটির কঠোর শাস্তির দাবি করছি ।"
আরও পড়ুন :
- ত্রিকোণ প্রেমের জেরে প্রিয় বন্ধুকে খুন, তোলা হল আদালতে ধৃতকে
- ভিনধর্মে বিয়ে, মেয়ে-জামাইকে খুন করল বাবা ও ভাই
- বন্ধুর নামে হাতে ট্যাটু, হাত-পা বেঁধে সেই যুবককেই খুন!