মালদা, 31 অক্টোবর:ওষুধের দোকানের কর্মচারী রবিউল বাবর ৷ একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট আছে তাঁর ৷ সেই অ্যাকাউন্ট থেকে ডিজিটাল লেনদেন করতেন ৷ মোবাইল ফোনে একাধিক ইউপিআই অ্যাপ ব্যবহার করেন ৷ ব্যবহার করতেন ফোন পে অ্যাপ ৷ সেই ইউপিআই ব্যবহার করাই কাল হল ৷ সম্প্রতি তাঁর কাছে একটি ফোন আসে, ফোন পে অফিসার পরিচয় দিয়ে ৷ ফোনের অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তির কথামতো একটি নির্দিষ্ট অ্যাপ ডাউনলোড করতেই উধাও হয়ে যায় 60 হাজার টাকা ৷ প্রতারিতের অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করেছে মালদা সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ ৷
জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম রবিউল বাবর ৷ বাড়ি চাঁচল থানার কালিয়াপাড়া গ্রামে ৷ 27বছর বয়সি রবিউল স্থানীয় একটি ওষুধের দোকানে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করেন ৷ ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "13 অক্টোবর নিজেকে ফোন পে অফিসার পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি ফোন করেছিলেন ৷ তাঁর কথা মতো মোবাইলে এনি ডেস্ক নামে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করি ৷ এক ঘণ্টা পরেই দেখি, আমার অ্যাকাউন্ট ফাঁকা ৷ কোনও টাকা নেই ৷ আমি ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারি, চার দফায় আমার অ্যাকাউন্ট থেকে 60 টাকা তোলা হয়েছে ৷ এরপরই প্রতারিত হয়েছি বুঝতে পেরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের পরামর্শে আমি প্রথমে চাঁচল থানায় যাই ৷ সেখান থেকে আমাকে মালদা সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানাতে বলা হয় ৷ আমি 17 অক্টোবর মালদা সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি ৷"
ওই ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ ঘটনা প্রসঙ্গে মালদা সাইবার ক্রাইম থানার এক আধিকারিক জানান, এই ধরনের সাইবার প্রতারণার ঘটনা আগে এই জেলায় ঘটেনি ৷ প্রতারকরা নতুন এই কৌশল নিয়েছে ৷ রবিউল বাবরের অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশি তদন্তও শুরু হয়েছে ৷