মালদা, 6 জানুয়ারি : স্ত্রীকে দায়ী করে আত্মঘাতী হলেন এক যুবক (Youth Suicide In Malda)। এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদার চাঁচলে। খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্ত্রীকে আটক করেছে । যদিও এই ঘটনায় তিনি নির্দোষ বলে দাবি করেছেন মৃতের স্ত্রী। আত্মঘাতী যুবকের নাম ছোটন কর্মকার। বয়স 38 বছর। বাড়ি চাঁচলের জেলেপাড়ায় । তবে কয়েক বছর ধরে স্ত্রী ও নাবালিকা দুই মেয়েকে নিয়ে তিনি চাঁচলে ভাড়াবাড়িতে থাকতেন ।
পুলিশ এসে ঘরের দরজা খুলতে চোখে পড়ে দেওয়ালে লেখা রয়েছে, আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী আমার স্ত্রী সপ্তমী । আমার বাবা-মা আর মেয়েদের খেয়াল রেখ । তবে এই লেখা ছোটনেরই কিনা তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে । সপ্তমী বলেন, " আমি তো ওর কোনও ক্ষতি করিনি ৷ ও সবসময় বলত, আমি মরে গেলে তোকে ফাঁসিয়ে যাব । আমি ওকে মদ খাওয়া ছাড়তে বলতাম । ঘরভাড়া আর সংসার খরচ দিতে বলতাম । প্রতি মাসে পাওনাদাররা আমাকে টাকার কথা বলত । আমার খারাপ লাগে । টাকা-পয়সা দিত না । এনিয়ে আমাদের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত । ও মদ ছাড়তে পারবে না বলে দিয়েছিল । এই অশান্তির জন্যই আমি তিনদিন ধরে বাবার বাড়িতে ছিলাম । আজ চলে যাওয়ার সময়ও আমাকে অপবাদ দিয়ে গিয়েছে । কেন এই কাজ করল, জানি না । "