মালদা, 9 মে : লকডাউনে বেতন বন্ধ করে দিয়েছেন মালিকপক্ষ ৷ এপ্রিল মাসের বেতন না পেয়ে আন্দোলনে শামিল হলেন পুরাতন মালদার নারায়ণপুরে অবস্থিত একটি কারখানার স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মীরা ৷ গতকাল কারখানার সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা ৷ শ্রমিকদের অভিযোগ, পরিস্থিতি বুঝে ওঠার আগেই কারখানার মূল গেটে তালা মেরে দেন মালিকপক্ষ ৷ এই পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে CITU ৷ দ্রুত সব শ্রমিককে বেতন না দিলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনের নেতৃত্ব ৷ তবে এনিয়ে মালিকপক্ষের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷ শেষ পর্যন্ত পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে ৷
পুরাতন মালদার নারায়ণপুরে গড়ে ওঠা শিল্পতালুকে 2004 সালে ওই কারখানাটি নির্মিত হয় ৷ এখানে স্থায়ী, অস্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক মিলিয়ে প্রায় 550 জন শ্রমিক কাজ করেন ৷ লকডাউনের মধ্যেও এই কারখানা চালু রয়েছে ৷ তবে সরকারি নির্দেশিকা মেনে মাত্র 15 শতাংশ শ্রমিককে নিয়ে উৎপাদন চালু রাখা হয়েছে ৷ অভিযোগ, এপ্রিল মাসে যাঁরা কাজ করেননি, তাঁদের বেতন দেওয়া হয়নি ৷ তাঁদের সবার বেতন বন্ধের নির্দেশিকা জারি করেছেন মালিকপক্ষ ৷ এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজিত হয়ে ওঠেন শ্রমিকরা ৷ কারখানার গেটে শুরু হয় বিক্ষোভ ৷ সেই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেয় CITU ৷
কারখানার স্থায়ী কর্মী সুভাষচন্দ্র মণ্ডল বলেন, " কোরোনা আবহে এমনিতেই পরিবারের অন্ন সংস্থান করতে পারছি না ৷ আমরা সবাই মার্চের বেতন পেয়েছি ৷ কিন্তু এপ্রিল মাসের বেতন পাইনি ৷ শুনতে পাচ্ছি, মালিকপক্ষ যাঁদের কাজে লাগিয়েছেন, তাঁদের পুরো বেতন দেবেন। আর যাঁদের সরকারি নির্দেশিকা মেনে বসিয়ে রেখেছেন তাঁদের অর্ধেক বেতন দেবেন ৷ সেটাও যাঁরা স্থায়ী কর্মী, তাঁদেরই দেওয়া হবে ৷ ঠিকা শ্রমিকদের কিছুই দেওয়া হবে না৷ শুনতে পাচ্ছি। সামনের মাসে কাউকে বেতন দেওয়া হবে না ৷ অথচ একদিনও ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়নি ৷ আমরা সবাই কাজ করতে চাই ৷ আমাদের কাজ না দেওয়া হলে আমরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব ৷"