মালদা, 19 সেপ্টেম্বর: স্ত্রী পরপর তিনটি কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন ৷ আর এটাই নাকি তাঁর 'অপরাধ' ৷ এই 'অপরাধের' শাস্তি হিসাবে কীটনাশক খাইয়ে খুনের চেষ্টা করা হয় 29 বছরের বধূকে ৷ এমনটাই অভিযোগ বধূর পরিবারের ৷ বাদ যায়নি তাঁর তিন মেয়েও ৷ অভিযোগ, পুত্রসন্তানের জন্ম দিতে না-পারায় যুবতীর স্বামী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা মা-মেয়েদের মারার চেষ্টা করেন ৷ যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন 36 বছরের স্বামী ৷ উলটে তিনি স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ এনেছেন ৷ তাঁর দাবি, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের বিষয়টি জেনে যাওয়ায় মেয়েদের নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন স্ত্রী ৷
রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে গাজোল থানা এলাকায় ৷ বধূর পরিবারের দাবি, ঘটনার দিন কোনক্রমে দুই মেয়ে সেখান থেকে পালিয়ে গ্রামবাসীদের খবর দেয় ৷ গ্রামের লোকজন তড়িঘড়ি ওই যুবতী ও তাঁর এক মেয়েকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান ৷ শারীরিক পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকায় সেখানকার চিকিৎসকরা মা-মেয়েকে মালদা মেডিক্যালে রেফার করে দেন ৷ বর্তমানে মায়ের পরিস্থিতি আশংকাজনক হলেও স্থিতিশীল রয়েছে মেয়ে ৷ তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷
বধূর বাবার দাবি, " আমার মেয়ে গৌড় কলেজে পড়ত ৷ প্রেম করে 12 বছর আগে বিয়ে করেছে ৷ পরপর তিনটি কন্যাসন্তান হওয়ায় ওঁর উপর জামাই ও তাঁর বাড়ির লোকজন অত্যাচার চালাচ্ছিল অনেকদিন ধরেই ৷ এর জন্যই গতকাল রাত আটটা নাগাদ আমার মেয়ে আর তিন নাতনিকে বিষ খাইয়ে খুনের চেষ্টা করে জামাই ও তার পরিবারের সদস্যরা ৷ কন্যা সন্তান হওয়ার জন্য আমার মেয়ে অপরাধী ৷ যার জন্য স্ত্রী-সন্তানদের মেরে অন্য মেয়েকে বিয়ে করে পুত্রসন্তান পাওয়াই জামাইয়ের উদ্দেশ ৷"