মালদা, 5 মার্চ : অবশেষে রাজ্যের 294 টি আসনে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ মালদা জেলার 12 টি আসনের মধ্যে সবার চোখ ছিল ইংরেজবাজার কেন্দ্রে ৷ এই কেন্দ্রে নেত্রী কাকে প্রার্থী করেন তা নিয়ে কৌতুহলী ছিল শাসকদলের অন্দরমহলও ৷ কারণ এই কেন্দ্রের যুযুধান দুই নেতা নীহাররঞ্জন ঘোষ ও কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর চিরন্তন বিবাদ ৷ তার উপর সম্প্রতি নীহারবাবুর বাড়িতে হামলার ঘটনায় নাম জড়ায় কৃষ্ণেন্দুবাবুর ৷ সেই ঘটনায় পুলিশের তরফে কৃষ্ণেন্দুবাবুর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলাও রুজু করা হয় ৷ কিন্তু আজ শেষ হাসিটা হেসেছেন তিনিই ৷
আরও পড়ুন :ভোটের আগে রাজ্যে দুষ্কৃতীর প্রবেশ রুখতে নদী সীমান্তে কড়া নজরদারি
কৃষ্ণেন্দুবাবু জানিয়েছেন, “ইংরেজবাজার কেন্দ্রে নেত্রী আমার উপরে ভরসা রেখেছেন ৷ এবার আমাকে এই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছেন তিনি ৷ দলের নির্দেশ অনুযায়ী প্রচারের কাজ শুরু করা হবে ৷ এই কেন্দ্রে অনেকেই আমার হিতাকাঙ্খী রয়েছেন ৷ তাঁরা হয়তো সরাসরি আমার দলকে সমর্থন করেন না, কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমাকে ভালোবাসেন ৷ আমি তাঁদের কাছেও আমাকে এবং দলকে জেতানোর আবেদন করব ৷ মমতাদি আমার উপর যে আস্থা রেখেছেন, আমি তা পূরণের চেষ্টা করব ৷"
কী বললেন যুযুধান দুই নেতা ? অন্যদিকে নিজের এলাকা থেকে চাঁচলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া নিয়ে নীহারবাবুর বক্তব্য, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বরাবর ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেন ৷ এবার তিনি নন্দীগ্রামে দাঁড়াচ্ছেন ৷ তাই এসব আমাদের কাছে কোনও প্রশ্ন নয় ৷ নিশ্চয়ই অনেক চিন্তাভাবনা করে নেত্রী চাঁচল কেন্দ্রে আমাকে প্রার্থী করেছেন ৷ আশা করি, নেত্রীর কাছ থেকে যে সম্মান ও ভালবাসা পেয়েছি, তাঁকে সেই সম্মান ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব ৷"
পাশাপাশি আজ ইংরেজবাজার কেন্দ্রে কৃষ্ণেন্দুবাবুর নাম ঘোষণা হতেই উল্লাসে ফেটে পড়েন নীহাররঞ্জন ঘোষের অনুগামীরা ৷ ইংরেজবাজার পৌরসভার সামনে অনুগামীদের বাজি পোড়াতেও দেখা যায় ৷