মালদা, 20 জানুয়ারি : আব্বার স্বপ্ন ছিল পাকা বাড়ি তৈরি করার ৷ তবে, সেই স্বপ্ন পূরণের আগেই মৃত্যু হয় তাঁর ৷ প্রয়াত আব্বার স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করেছিলেন বড় দাদা ৷ বছর তিনেক কাটতে না কাটতেই আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর দাদারও ৷ এরপরই আম্মা সাদিকুন বেওয়া সহ পরিবারের 6 জনের দায়িত্ব এসে পড়ে বছর বত্রিশের ফিরোজের কাঁধে ৷ পরিবারের একমাত্র রোজগেরে পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার ফিরোজ আলম ৷ আম্মি সহ 6 জনের দায়িত্ব সামলে কীভাবে আব্বার স্বপ্ন পূরণ করবেন, এই নিয়েই কপালে চিন্তায় ভাঁজ পড়ে তাঁর৷
রোজনামাচার এই জীবনে আচমকাই তাঁর ভাগ্যের পরিবর্তন হয়৷ লটারিতে 1কোটি টাকা জেতেন তিনি ৷
প্রতিদিনের মতোই গতকালও থানায় যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন ফিরোজ ৷ থানায় যাওয়ার পথে বন্ধুদের কথা মতো হরিশ্চন্দ্রপুরের শহিদ মোড়ের একটি লটারির দোকান থেকে টিকিট কেনেন ৷ দুপুরে এক বন্ধুর ফোনে জানতে পারে লটারিতে টাকা জিতেছেন ৷ কিন্তু কত টাকা জেতেন, সে বিষয়ে কোনও তথ্য দিতে পারেননি তাঁর বন্ধু৷ এরপরেই ফিরোজ থানায় ফিরে যান ৷ তবে, অপ্রত্যাশিতভাবে টাকা পাওয়ার পর ফিরোজ জানান, লটারি কাটার কোনও নেশাই নাকি ছিল না তাঁর৷ বন্ধুদের কথা মতোই তিনি লটারির টিকিট কাটেন৷ তবে, আচমকা এই পুরস্কার পেয়ে বেজায় খুশি ফিরোজ৷ ভাঙা টালির বদলে এবারে পাকা বাড়ি তৈরির স্বপ্ন দেখছেন তিনি৷ পাশাপাশি বাড়ির মেয়েদের পড়াশোনা শিখিয়ে প্রতিষ্ঠিত করার ইচ্ছেও প্রকাশ করেন ৷
ফিরোজ লটারিতে টাকা জেতায় খুশির জোয়ার তাঁর পরিবারে ৷ ছেলে লটারিতে টাকা জেতায় খুশি আম্মা সাদিকুন বেওয়ার৷ আজ তিনি বলেন, শওহর মারা যাওয়ার পর অনেক কষ্ট করে ছেলেমেয়েদের বড় করেছেন ৷ তাই ছেলে লটারিতে টাকা পাওয়ার পর এবারে সংসারে একটু সচ্ছল অবস্থা ফিরবে বলেও আশা করেন তিনি৷