পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

চাঁদা তুলে রাস্তা মেরামতের উদ্যোগ গ্রামবাসীদের - মালদা

রাস্তা বাঁচাতে উদ্যোগ নিল গ্রামবাসীরা ৷ নিজেরাই চাঁদা তুলে রাস্তা ঠিক করতে উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁরা ৷

villagers took the initiative to repair the road
চাঁদা তুলে রাস্তা মেরামতের উদ্যোগ গ্রামবাসীদের

By

Published : Jul 28, 2020, 3:02 PM IST

মালদা, 28 জুলাই : পুরতান মালদার যাত্রাডাঙা গ্রাম ৷ এই গ্রামেই রয়েছে বিশাল এক বিল ৷ যাত্রাডাঙা গ্রামের পাশে রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি গ্রাম ৷ এই সমস্ত গ্রামের বাসিন্দাদের মালদা শহরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র ভরসা এই বিলের ওপরের বাঁধের রাস্তা ৷ আগে এই বাঁধ না থাকায় ওপারের বাসিন্দারা প্রায় 13 কিলোমিটার ঘুরপথে মালদা আসতেন ৷ দীর্ঘদিন ধরেই বিলের উপর বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিল এলাকার বাসিন্দারা ৷ শেষ পর্যন্ত বছর দুয়েক আগে সেই বাঁধ তৈরি হয় ৷ বাঁধের ওপর পাকা রাস্তাও তৈরি করা হয় ৷ কিন্তু ঘোর বর্ষায় সেই রাস্তায় এখন ভাঙন শুরু হয়েছে ৷ কারণ, বিলের জল বাঁধের মাথা ছুঁইছুঁই ৷ জলের চাপে বাঁধে দেখা দিয়েছে ফাটল ৷ কোনও কারণে এই বাঁধ ভেঙে গেলে কিংবা বাঁধের উপর দিয়ে জল বইতে শুরু করলে ব্যাপক সমস্যায় পড়বেন স্থানীয় বাসিন্দারা ৷

কী বলছেন গ্রামবাসীরা, দেখুন ভিডিয়ো

এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, তাঁরা বাঁধ বাঁচাতে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবেন না ৷ এমনকি এই ক্ষমতা তাঁদের নেই বলেও বলেন তিনি ৷ অগ্যতা বাঁধ বাঁচাতে উদ্যোগ নিয়েছেন গ্রামবাসীরাই ৷ নিজেরাই চাঁদা তুলে বাঁধ রক্ষার কাজ শুরু করেছেন ৷ স্থানীয় বাসিন্দা সোহেল রানা বলেন, “গতকাল বাঁধের বেশ কিছু অংশ বসে গিয়েছিল ৷ বিলের জল যেভাবে বাড়ছে তাতে আগামী দু’দিনের মধ্যে জল বাঁধ টপকে যাবে ৷ তেমন হলে দুই পারের মধ্যে যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে ৷” এলাকার আরেক বাসিন্দা মহম্মদ মোস্তাফা আলি বলেন, “বাঁধের পরিস্থিতি আমরা পঞ্চায়েতকে জানিয়েছিলাম ৷ কিন্তু তাঁদের কোনও হেলদোল নেই ৷ তাই আমরা নিজেরা চাঁদা তুলে বাঁধ রক্ষা করার কাজ শুরু করেছি ৷ বিলের জল যদি আরও বাড়তে থাকে, তবে এই বাঁধের রাস্তা ভেঙে যাবে ৷ 10 হাজারের বেশি মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে ৷ এখনও পর্যন্ত এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান কিংবা সদস্য বাঁধের অবস্থা দেখতে আসেননি ৷ তাঁরা বাঁধ রক্ষার জন্য কোনও উদ্যোগ নেননি ৷ নিজেদের স্বার্থেই আমরা বাঁধ রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছি ৷”

এ প্রসঙ্গে এলাকার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য জিশান আলি বলেন, “এখন বাঁধের অবস্থা খুব খারাপ ৷ যত দিন যাচ্ছে, বাঁধ ও রাস্তার অবস্থা খারাপ হচ্ছে ৷ প্রথম থেকেই রাস্তার মান ঠিক ছিল না ৷ প্রয়োজন অনুযায়ী রাস্তায় পাথর দেওয়া হয়নি ৷ তাই এখন রাস্তার পরিস্থিতি এই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে ৷ এই রাস্তা টিকবে না ৷ আমি পঞ্চায়েত সদস্য হলেও আমার হাতে কোনও ফান্ড নেই ৷ প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতি কিংবা জেলা পরিষদ কোনও ব্যবস্থা নিলেই রাস্তা বাঁচবে ৷” এদিকে যাত্রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নূর হক বলেন, “বাঁধ ও রাস্তার বিষয়ে পঞ্চায়েতের কোনও দোষ নেই ৷ ফলে আমি গ্রামবাসীদের অভিযোগ মানতে পারছি না ৷ এই রাস্তা প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার অন্তর্ভূক্ত ৷ পঞ্চায়েতের কোনও ভূমিকা নেই এখানে ৷ বন্যার মরশুমে রাস্তাটির একটু ক্ষতি হয়েছে ৷ তবে, এখন রাস্তার কাজ করার উপায় নেই ৷ কে বা কারা রাস্তা ঠিক করার জন্য চাঁদা তুলছে তা আমিও জানি না ৷ কারও কোনও বক্তব্য থাকলে পঞ্চায়েতে এসে জানাতে পারে ৷ তবে আমরা এই রাস্তায় কিছু করতে পারব না ৷”

ABOUT THE AUTHOR

...view details