মালদা, 3 জানুয়ারি: দৃষ্টিশক্তি চলে যাওয়ায় ইংরেজবাজার পৌরসভার সাফাইকর্মীর কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে ৷ আর সেই ঘটনার পর গতকাল রাতে ওই সাফাইকর্মী অ্যাসিড দেহ উদ্ধার হয়েছে ৷ পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, কাজ চলে যাওয়ার পরে আর্থিক সমস্যায় ছিলেন ৷ সেই কারণেই তিনি নাকি, অ্যাসিড খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি ৷ মৃত ওই ব্যক্তির নাম বিভাষরঞ্জন ঘোষ (53) ৷ যদিও, এই ঘটনায় পৌরসভার তরফে বলা হয়েছে, অস্থায়ী কর্মীর পাশাপাশি ওই ব্যক্তি সাফাই কর্মীর কাজ করতেন ৷ তাঁকে নিয়ম মেনে সেই জায়গা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷
মালদা শহরের ঘোষপাড়ার বাসিন্দা বিভাষরঞ্জন ঘোষ ইংরেজবাজার পৌরসভায় অস্থায়ী কর্মীর পাশাপাশি, সেখানে সাফাইয়ের কাজ করতেন ৷ সম্প্রতি তিনি দৃষ্টি শক্তি হারান ৷ তারপরেই সাফাই কর্মীর কাজ হারান বলে অভিযোগ করে পরিবার ৷ তবে, পৌরসভার তরফে বলা হয়েছে, একজন ব্যক্তি কখনই পৌরসভায় দু’টি কাজ করতে পারেন না ৷ সাফাই কর্মী হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি, অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করতেন ৷ গতমাসে অস্থায়ী কর্মীর কাজের জন্য বেতন পেয়েছেন বলে জানিয়েছে ইংরেজবাজার পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ৷
কিন্তু, পরিবারের অভিযোগ গত সাতমাস ধরে তিনি নাকি বেতন পাচ্ছিলেন না ৷ এ দিকে বাড়িতে স্ত্রী ও সন্তানদের খরচ জোগানো দায় হয়ে যাচ্ছিল তাঁর ৷ দুই মেয়ের একজন উচ্চ মাধ্যমিক এবং একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ৷ সংসার খরচ জোগাতে না পারায় গতকাল রাতে অ্যাসিড খেয়ে নেন ৷ তড়িঘড়ি তাঁকে মালদা মেডিক্যাল কলেজে ভরতি করা হয় ৷ সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর ৷ আজ বিভাষরঞ্জন ঘোষের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷