মালদা, 11 জুন: বিভিন্ন এলাকার সমস্যা ও জেলা পরিষদের অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে জেলাশাসক ও পুলিশের সুপারের সঙ্গে দেখা করলেন জেলা তৃণমূলের নয় সদস্যের দল ৷ লকডাউন থাকায় এখনও জেলা পরিষদের অনাস্থা ডাকা হয়নি ৷ তবে শীঘ্রই অনাস্থা আনতে চলেছে তৃণমূল । জানালেন সভানেত্রী মৌসম নূর ৷
বৃহস্পতিবার বিকেলে তৃণমূলের নয় সদস্যের একটি দল জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র ও পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়ার সঙ্গে দেখা করেন ৷ দলে ছিলেন রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, জেলা সভানেত্রী মৌসম নূরসহ তৃণমূলের অন্যান্য বিধায়ক ৷ জেলাশাসকের সঙ্গে একাধিক ইস্যুতে আলোচনা হয় তৃণমূলের ওই প্রতিনিধি দলের ৷
মূলত, বিধায়কদের নিজের এলাকার নানা সমস্যা, যশ পরবর্তী প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, শহরের জল নিকাশি ব্যবস্থা ও জেলাপরিষদের অনাস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে ৷
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মৌসম বলেন, “আজ আমরা জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করেছি ৷ আমাদের দলের নির্বাচিত বিধায়করা নিজের নিজের এলাকার সমস্যাগুলি নিয়ে জেলাশাসকের কাছে তুলে ধরেন ৷ পাশাপাশি যশ পরবর্তী প্রভাবে কৃষকদের ক্ষতি হয়েছে ৷ অনেক শ্রমিকদের বাড়ি ভেঙে গিয়েছে ৷ তাঁদের ক্ষতিপূরণ পাইয়ে দেওয়া যায় কি না তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে ৷”
জেলাশাসকের সঙ্গে একাধিক ইশ্যুতে আলোচনা হয় তৃণমূলের ওই প্রতিনিধি দলের তিনি আরও বলেন, “জেলা পরিষদ নিয়ে আমরা রাজ্য নেতৃত্ব থেকে সবুজ সংকেত পেয়েছি ৷ যেহেতু এখন লকডাউন চলছে তাই এর মধ্যে অনাস্থা ডাকা হচ্ছে না ৷ তবে খুব শীঘ্রই আমরা অনাস্থা ডাকতে চলেছি ৷ এবিষয়েও জেলাশাসকের সঙ্গে কথা হয়েছে ৷ এখন জেলাপরিষদের আমাদের 23 থেকে 24 সদস্য রয়েছে ৷ আরও বেশ কিছু সদস্য আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ দিয়েছেন ৷ তবে দলত্যাগীদের পুনরায় যোগদান করানোর সমর্থন অনেকেরই নেই ৷ আমরা আলোচনার মাধ্যমে সেই সিদ্ধান্ত নেব ৷ আগামী দিনে জেলা পরিষদের সভাধিপতি কে হবে তা এই মুহূর্তে বলা যাবে না ৷”
আরও পড়ুন :রোগীর আত্মীয়দের শুকনো খাবার বিলি করছেন মালদা মেডিক্য়ালের চিকিৎসকরা
সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “মালদা শহরের জমা জল নিষ্কাশন নিয়ে এদিনের বৈঠকে জোর দেওয়া হয়েছে ৷ বিভিন্ন দফতর নিজেদের কাজ করছে৷ আমরা তার মধ্যে ঢুকব না ৷ যেগুলো জরুরি ফাঁকফোকর থেকে গিয়েছে, যেগুলো নিয়ে কেউ কোনোদিন ভাবেনি অথচ মালদা জেলায় দরকার রয়েছে সেগুলো দিকে আমরা বিশেষ নজর দিচ্ছি ৷ সামনে বর্ষা আসছে ৷ জেলার বন্যা ও ভাঙন পরিস্থিতি নিয়ে গত পরশু কলকাতায় রিভিউ মিটিং হয়েছে ৷ বেশ কিছু এলাকা চিহ্নিত করে দ্রুত গতিতে কাজ চলছে ৷ একটি কাজের ক্ষেত্রে অভিযোগও এসেছিল ৷ সেখানে আমি নিজে গিয়ে তদারকি করেছি ৷ ”