মালদা, 8 ফেব্রুয়ারি : এগিয়ে আসছে পৌরসভা নির্বাচন৷ ইতিমধ্যে রাজ্য নির্বাচন কমিশন নির্বাচনি কাজকর্ম শুরু করে দিয়েছে৷ তৈরি হয়েছে নির্বাচনি রোস্টারও৷ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী এবার ইংরেজবাজার পৌরসভার নির্বাচন তৃতীয় রোস্টার অনুযায়ী সম্পন্ন হতে চলেছে৷ এই রোস্টার অনুযায়ী এবার এই পৌরসভার বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর নিজেদের জেতা ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারছেন না৷ সেই তালিকায় যেমন রয়েছেন পৌরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ, তেমনই রয়েছেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি৷ রয়েছেন কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ দাস, অঞ্জু তিওয়ারি, আশিস কুণ্ডুসহ আরও কয়েকজন৷ যদিও এই রোস্টারকে পুরোপুরি আইনবিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি৷ তাঁর বক্তব্য, এই ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ভুল তথ্য দিয়েছে৷ পৌরসভার কয়েকজন আধিকারিক, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কয়েকজন কর্তার ষড়যন্ত্রে এই ঘটনা ঘটছে৷ তিনি এর বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন৷ এদিকে নরেন্দ্রনাথবাবুর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া শোনা গিয়েছে ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকারের গলায়৷ তিনি সাফ জানিয়েছেন, নরেন্দ্রবাবু এভাবে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলতে পারেন না৷
নরেন্দ্রনাথবাবু বলেন, “যে প্রক্রিয়ায় এই রোস্টার তৈরি করা হয়েছে তা ভুল৷ সেই ভুলের প্রতিবাদ করেছি আমি৷ প্রথমে দলনেত্রী, তারপর প্রশাসনকে এনিয়ে জানিয়েছি৷ কোনও কাজ না হওয়ায় আমি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি৷ 2015 সালে যে নির্বাচন হয়েছিল তাতে ভুল ছিল৷ এবার ফের সেই ভুল হতে চলেছে৷ পৌরসভার একাংশের সঙ্গে জেলা প্রশাসনও যে এভাবে ষড়যন্ত্রে জড়িয়ে যাবে তার ধারণা আমার ছিল না৷ প্রশাসনের কাছে আমার ভরসা ছিল৷ কিন্তু প্রশাসন আমাদের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেয়নি৷ এবার প্রশাসন জনসংখ্যার তালিকার জন্য পৌরসভার কাছ থেকে তথ্য চেয়েছে৷ আমার প্রশ্ন, জাতীয় জনগণনা তালিকার তথ্য কি পৌরসভা দিতে পারে? 2015 সালে এই পৌরসভার 250টি ওয়ার্ড ভেঙে 29টি করা হয়৷ আইন অনুযায়ী সেবার প্রথম রোস্টারে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল৷ তা হল না কেন? সেই ভুলের ভিত্তিতে এবারও ভুল করা হচ্ছে কেন? এই ঘটনার পিছনে পৌরসভার কিছু জনপ্রতিনিধি ও আধিকারিক দায়ি ৷ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানও এর সঙ্গে জড়িত৷ এটা ষড়যন্ত্র৷ এর সঙ্গে জড়িত জেলা প্রশাসনের একাংশও৷ সবচেয়ে বড় কথা, এনিয়ে আমার এলাকার একাধিক মানুষ তথ্য জানার অধিকার আইনে জেলাশাসকের কাছে রোস্টার পদ্ধতি জানতে চেয়েছেন৷ কিন্তু তাঁদের কাউকে সেই তথ্য দেওয়া হয়নি৷ কিছু মানুষকে ডেকে তাঁদের ভয় দেখানো হচ্ছে৷”