মালদা, 16 অক্টোবর : দুর্গাপুজো ঘিরে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রের বাড়িতে হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধেই ৷ ঘটনাটি ঘটেছে মালদার পুড়াটুলি সদরঘাটে । এনিয়ে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সাবিত্রীদেবীর মেয়ে ও তাঁর পরিবারের আরও এক সদস্য । এই ঘটনায় অভিযোগের তির জেলা তৃণমূলের এক কো-অর্ডিনেটরের অনুগামীদের বিরুদ্ধে ৷ যদিও এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছেন ওই কো-অর্ডিনেটর ৷ আজ এই খবর ছড়াতেই শোরগোল পড়েছে জেলায় ৷ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷
ঘটনার সূত্রপাত পরশু রাতে ৷ প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রের বক্তব্য, “পাড়ায় দুর্গাপুজো হোক, সেটা পাড়ার সবাই চায় ৷ দীর্ঘদিন ধরে এই পুজো হয়ে আসছে ৷ গতবার হঠাৎ পুজো বন্ধ হয়ে যায়৷ পুজোর সময় পাড়া অন্ধকারে ছিল৷ গতবারও পুজো নিয়ে আমরা পাড়ার বয়স্কদের কাছে গিয়েছিলাম ৷ পুজো করার জন্য আবেদন জানিয়েছিলাম৷ কিন্তু কী কারণে পুজো হয়নি, জানি না ৷ সিনিয়ররা পুজো করতে পারেননি ৷ গতবার ক্লাবের সম্পাদক তথা জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অম্লান ভাদুড়ির বাবা মারা গিয়েছিলেন৷ তাই তিনি পুজোয় জড়িত থাকতে পারেননি৷ তবে সিনিয়রদের হাতে দেওয়া হলে হয়ত পুজো বন্ধ হত না ৷ এবারও পুজোর কোনও সাড়াশব্দ নেই৷ আমি এই পুজো কমিটির সভাপতি ৷ তবে মিটিং ডাকেন সম্পাদক অথবা অন্য কোনও সদস্য ৷ এবার পুজো নিয়ে কোনও মিটিং ডাকা হয়নি ৷ অথচ প্রতি বছরই এই ক্লাব পুজোর জন্য সরকারি অনুদান পাচ্ছে ৷ এবারও পেয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে পাড়ার সবাই আমার কাছে এসে পুজোর ব্যাপারে জানতে চাইছে ৷ গতকালই এনিয়ে একটা মিটিং ছিল ৷ তারই মধ্যে পরশু রাত সাড়ে 11টায় 7-8 জন বাঁশ দিয়ে আমাদের বাড়ির দরজায় পেটাতে শুরু করে৷ দরজা ভাঙার চেষ্টা করে ৷ এর পিছনে ক্লাবের আরও অনেক সদস্য রয়েছে৷ আতঙ্কে রয়েছে বাড়ির লোকজন । রাস্তায় বেরোলে কো-অর্ডিনেটরের অনুগামীরা জানতে চায়, পুজো কেন হচ্ছে না ৷ আমি তাদের জানিয়েছি, ক্লাবের সভাপতি হিসাবে আমি অম্লানের কাছে পুজো করার কথা বলেছি ৷ সে পুজোর ব্যবস্থা করবে বলে জানিয়েছিল ৷ তবে এই পুজো বন্ধের জন্য কেউ বা কারা লাগাতার চেষ্টা করে যাচ্ছে ৷ গত পরশুর ঘটনায় আমার মেয়ে গতকাল ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ৷”