মালদা, 6 ফেব্রুয়ারি:মাদ্রাসা নির্বাচনে বোমাবাজি ও গুলি চলার ঘটনা (Madrasah Election Violence)নিয়ে সোমবার বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন মালদার (Malda) রতুয়া-1 ব্লকে তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি ফজলুল হক ৷ তাঁর দাবি, নিজেদের শক্তি জাহির করতেই গতকাল দলের জেলা সভাপতি ও চেয়ারম্যান সামান্য মাদ্রাসা নির্বাচনে বোমা-গুলির আমদানি করেছেন ৷ এভাবে চললে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতেই পারবে না ৷ তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যালটে ছাপ্পা মারারও অভিযোগ করেছেন ৷ যদিও তাঁর অভিযোগকে গুরুত্বই দিতে রাজি নন দলের জেলা সভাপতি আবদুর রহিম বকসি ৷ উলটে তিনি ফজলুল সাহেবের বিরুদ্ধে সিপিএম (CPIM) ও কংগ্রেস (Congress) যোগাযোগ রাখার অভিযোগ তুলেছেন ৷
অভিযোগ, পঞ্চায়েতের ভোটযুদ্ধে নামার আগে রতুয়া-1 ব্লকের বাটনা মাদ্রাসার পরিচালন কমিটির নির্বাচন ঘিরে গতকাল গৃহযুদ্ধে নেমেছিল তৃণমূলের দুই শিবির (Trinamool Congress Factionalism in Malda) ৷ একপক্ষে ছিলেন খোদ দলের জেলা সভাপতি আবদুর রহিম বকসি ও দলের জেলা চেয়ারম্যান তথা এলাকার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় ৷ অন্যপক্ষে ছিলেন রতুয়া-1 ব্লক তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি তথা এলাকার প্রভাবশালী নেতা ফজলুল হক ও দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ হেসামুদ্দিন ৷ এই নির্বাচন ঘিরে গতকাল দিনভর উত্তপ্ত ছিল বাটনা এলাকা ৷ পড়েছে বোমা, চলেছে গুলি৷ একজন গুলিবিদ্ধও হয়েছেন ৷ একাধিক বাড়িঘর এবং মোটরবাইকও ভাঙচুর হয়েছে ৷ যদিও জেলা তৃণমূল সভাপতি নির্বাচনকে ‘শান্তিপূর্ণ’ বলেই দাবি করেছেন ৷ গভীর রাতে ভোটের ফল বেরোলে দেখা যায়, রহিম সাহেব ও সমরবাবুর প্যানেলের ছয় প্রার্থীই জয়ী হয়েছেন ৷
এই নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ কার্যত বোমা ফাটিয়েছেন ফজলুল সাহেব ৷ তিনি বলেন, “দলের জেলা সভাপতি এবং চেয়ারম্যান নিজেদের মান রাখতে গতকাল বোমা-গুলি চালাতেও দ্বিধা করেননি ৷ তাঁরা যদি আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন এভাবেই করেন, তবে আমার ধারণা, মানুষ ভোট দিতে আসবে না ৷’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, নির্বাচনে কোনও গা-জোয়ারি চলবে না ৷ অথচ তাঁর সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে দলের জেলা সভাপতি রহিম বকসি ও চেয়ারম্যান সমর মুখোপাধ্যায় মাদ্রাসার সামনে উপস্থিত থেকে পুলিশকে দিয়ে ছাপ্পা ভোট করালেন ৷ এতেই প্রমাণিত, তাঁরা দলের নির্দেশ অমান্য করেছেন ৷ এভাবেই যদি চলতে থাকে, তাহলে মালদা জেলায় তৃণমূলকে শেষ করে দেওয়ার জন্য এঁরা দু’জনই যথেষ্ট ৷ এসব কাজ করে তাঁরা বিরোধীদের বলার সুযোগ করে দিচ্ছেন ৷” ফজলুল সাহেব আরও বলেন, “পুরনো তৃণমূল কর্মীরা আগামিদিনে যাতে দলে থাকতে না পারেন, তাঁরা সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছেন ৷’’