মালদা, 28 অগস্ট: পঞ্চায়েত নির্বাচনে গোটা ব্লকে মুখ পুড়েছে ৷ ভোট মিটতেই যেন মুষল পর্ব শুরু হয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লক তৃণমূলে ৷ উঠে আসছে টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েত ভোটের টিকিট বিলির অভিযোগ ৷ এর সঙ্গে দলের ব্লক সভাপতি-সহ স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতা জড়িত বলে অভিযোগ তৃণমূল কর্মীদের একাংশের ৷ শুধু তাই নয়, টাকা ফেরতের দাবিতে সোশাল মিডিয়ায় পোস্টও শুরু হয়েছে ৷ অভিযুক্ত নেতাদের শাস্তির দাবিতে রাস্তায় নেমে পড়েছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীদের অনেকে ৷ সবমিলিয়ে শোরগোল পড়েছে গোটা এলাকায় ৷ যদিও অভিযুক্ত ব্লক তৃণমূল সভাপতির দাবি, যারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তারা দলের কেউ নয় ৷ সব সিপিআইএম ও নির্দল প্রার্থীর অনুগামী ৷
সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিয়ো ক্লিপে বিরুয়ার মহম্মদ দাবিরকে বলতে শোনা গিয়েছে, "আমাকে বলা হয়েছিল, রৌশনকে টাকা দিলে টিকিট পাওয়া যাবে ৷ মানিকের কথা শুনে আমি রৌশনকে টাকা দিয়েছিলাম ৷ কিন্তু আরেকজনের কাছ থেকে বেশি টাকা নিয়ে সেই টিকিট ওরা বিক্রি করে দেয় ৷ গতকাল আমাকে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল ৷ টাকা দেয়নি ৷ তাই আমি কারও নাম না করে সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করি ৷ তারপরেই রৌশন-সহ আরও অনেকে আমাকে চাপ দিচ্ছে ৷ মামলার হুমকি দিচ্ছে ৷"
এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকে তুলসিহাটা, রশিদাবাদ, বরুই ও কুশিদা পঞ্চায়েত হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের ৷ হাতছাড়া হয়েছে পঞ্চায়েত সমিতিও ৷ শুধু তাই নয়, জেলা পরিষদ আসনে পর্যদুস্ত হয়েছেন খোদ মন্ত্রীর ভাই ৷ তৃণমূল নেতা-কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, হরিশ্চন্দ্রপুর 1 'বি' ব্লকের সভাপতি মানিক দাস ও এলাকার প্রভাবশালী দলীয় নেতা রৌশন জামির এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থীপদের টিকিট বিক্রি করেছেন ৷ লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের টিকিট দেওয়া হয়েছে ৷ সেই কারণেই নির্বাচনে এই ব্লকে দলের এই হাল ৷
আরও পড়ুন:টাকা নিয়ে টিকিট বিক্রির অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কের, পালটা আক্রমণ ব্লক সভাপতির
রৌশন জামিরের দাবি, এসব অসত্য অভিযোগ ৷ দাবির একজন কাপড়ের ব্যবসায়ী ৷ এবার নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে দাঁড়িয়েছিল ৷ ওর দোকান থেকে আমি কাপড় কিনি ৷ ওর সঙ্গে বহুবার টাকার লেনদেন হয়েছে ৷ গতকালও ওকে পাওনা টাকা দিয়েছি ৷ এখন যদি সেটাকে টিকিট বিক্রি করার নাম করে প্রচার করা হয়, তাহলে আমি ওর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব ৷ আর যারা বিক্ষোভ করেছে, তারা কেউ সিপিআইএম, কেউ নির্দলের অনুগামী ৷ আফসার আলম নামে এক বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে তো বন্যাত্রাণের কোটি কোটি টাকা চুরির অভিযোগ রয়েছে ৷