মালদা, 14 অক্টোবর: বন্দুক হাতে তৃণমূল নেতার ছবি ভাইরাল ৷ এখন থেকেই নির্বাচনী সন্ত্রাস ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপির (BJP)৷ অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম মহম্মদ আলাউদ্দিন ৷ সেন্টু নামেই তিনি এলাকায় পরিচিত ৷ তাঁর স্ত্রী রতিকা আখতারি হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লকের মালিওর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ৷ সোশাল মিডিয়ায় (Social Media) ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে, অন্ধকার রাতে ফাঁকা মাঠে দাঁড়িয়ে রয়েছেন আলাউদ্দিন ৷ তাঁর হাতে একটি বন্দুক ৷ সেই আগ্নেয়াস্ত্র হাতে রীতিমতো পোজ দিয়ে ছবি তুলছেন তিনি ৷ যদিও ইটিভি ভারত এই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি ৷ সেই ছবিই এখন হরিশ্চন্দ্রপুরে আলোড়ন ফেলেছে (TMC Leader Controversy) ৷
বিজেপির উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক রূপেশ আগরওয়াল বলছেন, "মালিওর 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধানের স্বামীর হাতে আগ্নেয়াস্ত্রের ছবি ৷ শাসকদল গোটা রাজ্যটাকেই বোমা-বারুদের স্তূপের উপর দাঁড় করিয়ে দিয়েছে ৷ সামনে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন ৷ তার আগেই ওরা মানুষকে ভয় দেখাতে বন্দুক হাতে ছবি তুলে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করছে ৷"
বন্দুক হাতে তৃণমূল নেতার ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল আরও পড়ুন:শিলিগুড়িতে বিজেপির টেন্ট রাতারাতি ঢেকে গেল নীল সাদা কাপড়ে
তিনি আরও বলেন, "পঞ্চায়েত ভোট লুট করার জন্য এরা বোমা-বারুদ, পিস্তল-বন্দুক মজুত করে রেখেছে ৷ তবে মানুষ আর এদের ভয় পায় না ৷ মানুষ এদের লুটের রাজনীতি বুঝে গিয়েছে ৷ তৃণমূলের তাবড় তাবড় নেতা-মন্ত্রী জেলে যাচ্ছে ৷ মানুষ এদের বিরুদ্ধে রায় দেওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছে ৷ পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করলে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ঘরে ঘরে বোমা-বন্দুক পাবে ৷ কিন্তু পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করে না ৷"
অন্যদিকে, আলাউদ্দিন ওই বন্দুককে খেলনা বলে সাফাই দিয়েছেন ৷ তাঁর দাবি, "ওটা আসল বন্দুক নয় ৷ গ্রামে মেলা বসেছিল ৷ সেখানে বেলুন ফাটানোর জন্য বন্দুক হাতে তুলেছিলাম ৷ কেউ হয়তো সেই ছবি তুলে ভাইরাল করে দিয়েছে ৷ পঞ্চায়েত ভোটে এখানে কোনও গোলমাল হয় না ৷ বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন ৷"
এনিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি তোবারক হোসেন চৌধুরী বলেন, "আমি শুনেছি, ওটা খেলনা বন্দুক ৷ মেলায় ওই বন্দুক দিয়ে বেলুন ফাটায় ৷ সেন্টু বেলুন ফাটানোর জন্যই ওই বন্দুকটা হাতে নিয়েছিল ৷ সেই ছবি তুলে কেউ ভাইরাল করেছে ৷ ও খুব ভালো ছেলে ৷ আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লকে নির্বাচনে কোনও সন্ত্রাস হবে না ৷ বিরোধীরা হেরে যাবে বুঝেই এসব অভিযোগ তুলছে ৷ ওদের কাজই হল তৃণমূলকে বদনাম করা ৷ বিধানসভা ভোটের মতো পঞ্চায়েত নির্বাচনেও মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে আশীর্বাদ করবে ৷"
আরও পড়ুন:দশমীতে প্রাক্তন বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে তৃণমূল সাংসদের নাচ