পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

TMC Leader slams Bureaucrats: মুখ্যমন্ত্রীর আমলাদের একাংশ দুর্নীতিতে জড়িত, দাবি খোদ তৃণমূল নেত্রীর - বিডিও

TMC Leader alleges Bureaucrats involved in Corruption: আমলাদের একাংশ না-না দুর্নীতিতে যুক্ত ৷ এই অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলেরই নেত্রী ৷ তাঁর দাবি, বিডিও'র দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ৷ বিচারপতি তাঁর অভিযোগের তদন্ত করার জন্য জেলাশাসককে নির্দেশ দেন ৷

Etv Bharat
Etv Bharat

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 10, 2023, 5:23 PM IST

মালদা, 10 নভেম্বর: মুখ্যমন্ত্রী দুর্নীতি দূর করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন ৷ কিন্তু তাঁর আমলাদের একাংশ নানা দুর্নীতিতে যুক্ত ৷ এই অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলেরই নেত্রী ৷ তাঁর দাবি, বিডিও'র দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ৷ বিচারপতি তাঁর অভিযোগের তদন্ত করার জন্য জেলাশাসককে নির্দেশ দেন ৷ কিন্তু জেলাশাসক এখনও সেই তদন্তই শুরু করেননি ৷ তদন্তের দাবিতে শুক্রবার তিনি ফের জেলাশাসকের কাছে লিখিত আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন ৷ সেখানে তিনি জানিয়েছেন, এরপরেও জেলার প্রশাসনিক প্রধান এনিয়ে তদন্তের নির্দেশ না দিলে তিনি জেলাশাসকের দফতরের সামনে অনশনে বসতে বাধ্য হবেন ৷

অভিযোগকারীর নাম শ্যামলী দাস ৷ 2018-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি বিজেপির টিকিটে রতুয়া দুই নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির আসনে জয়ী হন ৷ পরবর্তীতে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন ৷ তাঁকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির চেয়ারে বসানো হয় ৷ তৃণমূলের নেত্রী হিসাবেই তিনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির মেয়াদ পূর্ণ করেন ৷ তেইশের নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি ৷ তাঁর অভিযোগ, “আমি উন্নয়নের কথা ভেবে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলাম ৷ কারণ, আমি বুঝেছিলাম, দিদির সঙ্গে না থাকলে সাধারণ মানুষের পাশে থাকা যাবে না ৷ মানুষের উন্নয়নও করা যাবে না ৷ 2022 সালে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হিসাবে লক্ষ্য করি, বিডিও নিশীথকুমার মাহাতো একের পর এক দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন ৷ আমি তাঁকে বাধা দিই ৷ এরপর আমাকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখেই বিডিও ব্লক চালাতে শুরু করেন ৷”

শ্যামলীদেবীর আরও অভিযোগ, “বিডিওর দুর্নীতি ধরতে আমি তাঁর কাছে কিছু নথি চেয়ে পাঠাই ৷ কিন্তু তিনি সাফ জানিয়ে দেন, আমাকে তিনি কোনও নথি দেবেন না ৷ আমি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হয়েও নথি না পেয়ে তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করি ৷ প্রয়োজনীয় নথি সেভাবেই সংগ্রহ করি ৷ সব নথি খতিয়ে দেখে জানতে পারি, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের প্রায় 75 লক্ষ টাকার টেন্ডার দুর্নীতিতে যুক্ত বিডিও ৷ অবৈধ টেন্ডারে তিনি কিছু কাজ করিয়েছিলেন ৷ আবার কিছু কাজ না করেই বিল ছেড়ে দিয়েছিলেন ৷ টাকা-পয়সা নিয়ে তিনি তাঁর পছন্দের ঠিকাদারকে টেন্ডার পাইয়ে দিয়েছিলেন ৷ আমি সমস্ত নথি সহ তাঁর বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছি ৷ বিচারপতি গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে জেলাশাসককে নির্দেশ দেন ৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত জেলাশাসক হাইকোর্টের নির্দেশ মানেননি ৷ তিনি তদন্তের নির্দেশও দেননি ৷ তদন্তের দাবিতে ফের জেলাশাসকের কাছে লিখিত আবেদন জানালাম ৷ এরপরেও তিনি তদন্তের নির্দেশ না দিলে তাঁর দফতরের সামনে অনশনে বসব ৷”

জেলাশাসক নিতীন সিংহানিয়া অবশ্য জানিয়েছেন, এমন কোনও আবেদনপত্র এখনও পর্যন্ত তাঁর কাছে আসেনি ৷ আবেদন এসে পৌঁছলে তিনি যথাযথ পদক্ষেপ করবেন বলেও জানিয়েছেন জেলাশাসক ৷

আরও পড়ুন:

সাংসদ শতাব্দীই ফের বীরভূমের প্রার্থী ! চন্দ্রনাথের ঘোষণায় বিতর্ক

48 ঘণ্টা পরেও বিষ্ণুপুরের বিধায়কের রাইস মিলে জারি আয়কর অভিযান

ABOUT THE AUTHOR

...view details