মালদা, 11 অগস্ট: নীতি কোথায় ? প্রশ্ন তৃণমূলেই ৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছিলেন, দলের টিকিট না পেয়ে যাঁরা নির্দল কিংবা অন্য দলের হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, তাঁদের আর তৃণমূলে ঠাঁই নেই ৷ ভোটে জিতলেও তাঁদের দলে ফিরিয়ে আনা যাবে না ৷ কিন্তু মালদায় অভিষেকের নির্দেশকে তোয়াক্কা করা হয়নি বলে অভিযোগ ৷ নির্দল হিসাবে জয়ী বিক্ষুব্ধকে দলে ফিরিয়ে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করেছে তৃণমূল ৷ এমনকি সেই নির্দলকে উপপ্রধান পর্যন্ত করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে ৷ শুক্রবারই এই ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন ইংরেজবাজার ব্লকের বিনোদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা ৷
ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন 19টি ৷ নির্বাচনে তৃণমূল ন’টি, বিজেপি চারটি, সিপিআইএম দু’টি আসনে জয় পায় ৷ চারটি আসনে জেতেন নির্দল প্রার্থীরা ৷ স্বাভাবিকভাবেই এই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করার মতো অবস্থায় ছিল না শাসক দল ৷ বোর্ড গড়তে অবশেষে তারা ভর করে জয়ী নির্দল প্রার্থী মোকবেল মিয়াঁর উপর ৷ আজ মোকবেলের সমর্থনেই এই পঞ্চায়েতে ঘাসফুলের বোর্ড গঠিত হয়েছে ৷ প্রধান হয়েছেন তৃণমূল সদস্য রাজু মিয়াঁ ৷ উপপ্রধান হয়েছেন নির্দল মোকবেল ৷
আরও পড়ুন:বিরোধ ভুলে রতুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে 'রামধনু' বোর্ড
মোকবেল মিয়াঁর উপপ্রধানের পদ অবশ্য নিষ্কণ্টক ছিল না ৷ তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন তৃণমূলেরই প্রার্থী জামিল শেখ ৷ 14-5 ভোটে জেতেন মোকবেল ৷ ভোটে হেরে যাওয়ার পর জামিল বলেন, “আমি ভোটাভুটি চেয়েছিলাম ৷ ভোটও হয়েছে৷ কিন্তু তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী হয়েও আমি দলের ভোট পাইনি ৷ বোর্ড গঠন নিয়ে দলের তরফে কোনও হুইপ জারি করা হয়নি ৷ দলের ইংরেজবাজার ব্লকের সভানেত্রী প্রতিভা সিং যাঁর নাম চূড়ান্ত করে দিয়েছেন, তাঁকেই প্রধান ও উপপ্রধান করা হয়েছে৷ সবটাই হয়েছে মৌখিকভাবে ৷ দলের ভোট না পেয়ে আমি হেরে গিয়েছি ৷ উপপ্রধান হয়েছে নির্দল সদস্য মোকবেল মিয়াঁ ৷”