মালদা, 9 নভেম্বর: এগিয়ে আসছে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election)৷ ইডি-সিবিআইয়ের দাপটে অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসকদল ৷ তবে মালদা (Malda News) জেলায় পরিস্থিতিটা আরও ঘোরালো ৷ বিভিন্ন ইস্যুতে দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, আদালত পর্যন্তও তার কিছু গড়িয়েছে ৷ সে সব ঝামেলা তো রয়েছেই, তার থেকেও বেশি ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে দলের অন্দরে (TMC Factionalism in Malda)৷ হরিশ্চন্দ্রপুর, রতুয়া, কালিয়াচক ছাড়িয়ে সেই কোন্দল ধাক্কা দিয়েছে চাঁচল তৃণমূলের দরজায় ৷ একদিকে জেলা পরিষদ সদস্য, অন্যদিকে বিধায়ক ৷ দুই তৃণমূল নেতার কাজিয়া তারিয়ে উপভোগ করছে বিরোধীরা ৷ ভোটাররাও ৷
এ বার দলীয় বিধায়কের বিরুদ্ধে বারুদে আগুন ধরিয়েছেন চাঁচলের তৃণমূল জেলা পরিষদ সদস্য সামিউল ইসলাম ৷ তাঁর বক্তব্য, “চাঁচলের বিধায়ক পরিযায়ী ৷ বাইরে থেকে এসে এখানে জুড়ে বসেছেন ৷ বিধানসভা ভোটের আগে আমি আইপ্যাকের নির্দেশে এই এলাকাকে সাজিয়েছিলাম ৷ জমি চাষ করে ফসল লাগালাম ৷ আর সেই জমির ফসল অন্য কেউ কেটে নিয়ে যাবে, তা আমরা হতে দেব না ৷ বিধায়ক নীহার ঘোষের বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নেবে ৷ ভাড়া বাড়িতে থেকে তিনি কয়েকজন ঠিকাদার নিয়ে দল পরিচালনা করছেন ৷ অঞ্চল কিংবা ব্লক কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে স্থানীয় নেতাদের গুরুত্ব দিচ্ছেন না ৷ প্রকাশ্যেই বলছেন, স্থানীয়রা কোনও নেতাই নন ৷ 2014 সাল থেকে এই দলটা করছি ৷ পরিযায়ী বিধায়কের এমন কাজকর্ম মেনে নিতে পারছি না ৷ আমি জেলা সভাপতিকে আমার লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি ৷ দলনেত্রী আর সর্বভারতীয় সম্পাদককেও বিষয়টি লিখিতভাবে জানাব ৷”
এ দিকে, বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ বলছেন, “গত বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধীদের কাছে কোনও কিছুর বিনিময়ে যিনি বিক্রি হয়ে গিয়েছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভোট করেছিলেন, তাঁর মুখে এ সব কথা শোভা পায় না ৷ ব্লক কিংবা জেলা কমিটিতে তো আরও নেতৃত্ব রয়েছেন ৷ তাছাড়া এখন তো অঞ্চল কিংবা ব্লক কমিটিই তৈরি হয়নি ৷ এ সব ভিত্তিহীন অভিযোগ করে দলকে আরও বিপদে ফেলা হচ্ছে ৷ দলের মধ্যে ভেদাভেদ তৈরি করা হচ্ছে ৷ এতদিন তাঁরা চাঁচলে তৃণমূলের কোনও বিধায়ক দিতে পারেননি ৷ এমনকী গত পঞ্চায়েত ভোটে চাঁচল 1 নম্বর ব্লকের আটটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে একটি অথবা দুটিতে তৃণমূল জিতেছিল ৷ এখনও পর্যন্ত চাঁচল 1 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি বিরোধীদের দখলে ৷ তিনি যদি অনেক বড় সংগঠকই হন, তবে এতদিন দলকে এখানে প্রতিষ্ঠা দিতে পারেননি কেন ?”