মালদা, 16 জুন: এই বাজারেও গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনে মনোনয়ন জমা দিতে পারল না খোদ শাসকদল ৷ এই ঘটনা ঘটেছে পুরাতন মালদা ব্লকের সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দু'টি আসনে ৷ বিষয়টি নিয়ে জোরচর্চা শুরু হয়েছে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে ৷
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত নির্ঘণ্ট অনুযায়ী বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে এবারের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া ৷ নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দু'টি সংসদে মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি শাসকদল ৷ ওই দু'টি বুথের নম্বর 3 ও 78 ৷ অভিযোগ উঠেছে, গতকাল রাত আটটা নাগাদ দু'জনকে মনোনয়ন জমা করাতে ব্লক দফতরে নিয়ে যায় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ৷ কিন্তু নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় বিডিও মনোনয়নপত্র জমা নিতে অস্বীকার করেন ৷ এই নিয়ে ব্লক দফতরে সামান্য ঝামেলাও হয় ৷
পুরাতন মালদা ব্লক কংগ্রসের সভাপতি গোপাল সরকারের কথায়, "গতকাল বেলা তিনটের সময় এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়ে গিয়েছে ৷ তখনও পর্যন্ত সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের 3 নম্বর মোরগ্রাম ও 78 নম্বর বিমল দাস কলোনির বুথে তৃণমূল তাদের প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা করাতে পারেনি ৷ রাত আটটা নাগাদ ওরা দলবল নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে আসে ৷ পুলিশ প্রশাসনের মদতে মনোনয়ন কক্ষে ঢুকে ওরা সরকারি আধিকারিকদের হুমকি দিতে থাকে ৷ আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করি ৷ তখন বিডিও এসে মনোনয়ন জমা নিতে অস্বীকার করেন ৷ 87 নম্বর পাবনাপাড়া বুথেও নথিপত্রে ভুল থাকায় তৃণমূল মনোনয়ন জমা করাতে পারছিল না ৷ শেষ পর্যন্ত মালদা থানার আইসি শাসকদলের প্রার্থীর বাড়ি গিয়ে নথিপত্র ঠিক করিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাকে মনোনয়ন কেন্দ্রে নিয়ে আসেন ৷ তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল আর মানুষের কাছ থেকে দূরে সরে যাওয়ার জন্যই এমন ঘটনা ঘটেছে ৷"