মালদা, 10 জুলাই: স্ট্রং রুমের পাহারাদারি নিয়ে রবিবার গোটা রাত তীব্র উত্তেজনা মোথাবাড়িতে ৷ গভীর রাতে স্ট্রং রুমের সামনে রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে দেখে বিরোধীরা ব্যালট বাক্স লুটের আশংকা করে ৷ গোটা রাত বিরোধী সব দলের নেতা-কর্মীরা স্ট্রং রুমের সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকেন ৷ ভাঙচুর করা হয় কালিয়াচক 2 নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তথা শাসকদলের জেলা পরিষদ আসনের প্রার্থী হাসিমুদ্দিন আহমেদের গাড়ি ৷ আক্রান্ত হন তাঁর ছেলেও ৷
এই ঘটনায় শাসক ও বিরোধীরা একে অন্যের বিরুদ্ধে স্ট্রং রুম লুঠ করার পরিকল্পনা করার অভিযোগ এনেছে ৷ এদিকে গাড়ি ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় সেখানকার কংগ্রেসের জেলা পরিষদ আসনের প্রার্থী দুলাল শেখ-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মোথাবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন হাসিমুদ্দিনের ছেলে সাগর ৷ তবে এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানিয়েছে মোথাবাড়ি থানার পুলিশ ৷
আরও পড়ুন:নাকাশিপাড়ায় পুনর্নির্বাচনের আগের রাতে গুলিবিদ্ধ সিপিএম কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল
জানা গিয়েছে, ঝামেলার সূত্রপাত স্ট্রং রুমের পাহারাদারি নিয়ে ৷ নির্বাচনের আগেই কালিয়াচক 2 নম্বর ব্লকের বিডিও বিপ্রতীম বসাক সর্বদলীয় বৈঠক করেন ৷ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের তরফে তিনজন করে স্ট্রং রুমের ওয়াচ রুমে থেকে দিন-রাত পাহারা দিতে পারবেন ৷ কিন্তু তার জন্য সবাইকে বিডিওর অনুমতিপত্র সঙ্গে রাখতে হবে ৷ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা সেই অনুমতিপত্র ছাড়া কাউকে ওয়াচ রুমে ঢুকতে দেবেন না ৷ সেই অনুযায়ী অন্যান্য দলগুলি বিডিওর অনুমতিপত্র সংগ্রহ করলেও তৃণমূল তা করেনি ৷
ফলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ওয়াচ রুমে তৃণমূলের কাউকে প্রবেশ করতে দেননি ৷ এই খবর পেয়েই গতকাল রাত সাড়ে 11টা নাগাদ মোথাবাড়ির স্ট্রং রুমে দলবল নিয়ে হাজির হন মন্ত্রী সাবিনা ৷ ছিলেন হাসিমুদ্দিনও ৷ কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা ৷ এরই মধ্যে চাউর হয়ে যায়, মন্ত্রী দলবল নিয়ে স্ট্রং রুমে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করছেন ৷ সেই খবর পেয়েই একসঙ্গে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ৷ স্ট্রং রুমের সামনে থেকে সাবিনা-সহ তৃণমূলের লোকজনকে সরিয়ে দেওয়া হয় ৷ বিরোধীরা সারা রাত স্ট্রং রুমের পাহারাদারি শুরু করেন ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী ৷ আসে কেন্দ্রীয় বাহিনীও ৷ তবে সোমবার সকাল পর্যন্ত এলাকা ছাড়েনি বিরোধীরা ৷