মালদা, 28 এপ্রিল : রোগীর পরিজনের দ্বারা আক্রান্ত হলেন মালদা মেডিকেল কলেজের তিন নিরাপত্তারক্ষী । প্রাথমিক চিকিৎসার পর দুই কর্মীকে ছেড়ে দেওয়া হলেও চিকিৎসাধীন একজন । আক্রান্ত নিরাপত্তাকর্মীরা হলেন অনিল রায়, ছোটন ঘোষ ও মহম্মদ নুর । ঘটনাস্থানে পুলিশ পৌঁছালে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অন্য নিরাপত্তারক্ষীরা পুলিশের হাতে তুলে দেন ।
সময় অতিক্রান্ত, হাসপাতালের বাইরে বেরোতে বলায় নিরাপত্তারক্ষীদের মারধর - malda medical college
রোগীর পরিজনের দ্বারা আক্রান্ত হলেন মালদা মেডিকেল কলেজের অনিল রায়, ছোটন ঘোষ ও মহম্মদ নুর নামে তিন নিরাপত্তারক্ষী ।
হরিশচন্দ্রপুরের বিকাশ পাল তার আট মাসের শিশুকে গতকাল মালদা মেডিকেলে ভরতি করেন । বিকাশবাবু বিকেলের দিকে শিশুকে দেখতে আসেন । কিন্তু দেখার সময় পেরিয়ে গেলেও হাসপাতালের ভেতরে থেকে যায় তিনি । নিয়মানুয়ায়ী নিরাপত্তাকর্মীরা ওয়ার্ড থেকে বিকাশবাবুকে বাইরে বেরিয়ে আসতে বলেন । এরপরই বিকাশবাবু মহম্মদ নুর নামে ওই নিরাপত্তারক্ষীর মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করেন বলে অভিযোগ । মহম্মদ নুরকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন অনিল রায় ও ছোটন ঘোষ । ঘটনায় গুরতর আহত হন মহম্মদ নুর । প্রাথমিক চিকিৎসার পর অনিল রায় ও ছোটন ঘোষকে ছেড়ে দেওয়া হলেও মহম্মদ নুর বর্তমানে CCU বিভাগে চিকিৎসাধীন।
মালদা মেডিকেলের নিরাপত্তাকর্মীদের সুপারভাইজ়ার জয়ন্তকুমার বোস বলেন, "রোগীদের সঙ্গে দেখা করার সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে রোগীর পরিবারের লোকজনদের বাইরে নিয়ে আসার নিয়ম আছে আমাদের । সেই নিয়ম অনুযায়ী গতকাল রাতে মহম্মদ নুর মাতৃ-মা বিভাগ থেকে রোগীর পরিবারের লোকজনদের বাইরে বের করে আনে । বিকাশ পাল নামে এক ব্যক্তি বাইরে আসতে রাজি না হলে মহম্মদ নুর তাঁকে ধরে অফিসে নিয়ে আসে । সেই সময় লোহার রড দিয়ে মহম্মদ নুরের মাথায় আঘাত করে বিকাশ । ঘটনাস্থানেই অজ্ঞান হয়ে যান মহম্মদ নুর । এরপরে মাতৃ-মা বিভাগের গেটের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের মারধর করে বিকাশ । বিকাশ পালকে ইংরেজবাজার থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ।"