পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

পশ্চিমবঙ্গের সব সরকারি জায়গায় মমতার ছবি আছে : সঞ্জিত

"যেখানেই তাকাবেন সেখানেই মমতা ব্যানার্জির ছবি। গোটা হাসপাতাল চত্বর খুঁজলে শুধুই ওঁর ছবি পাবেন।" তৃণমূল নেতা প্রসেনজিৎ দাসের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একথা বললেন BJP-র মালদা জেলা সভাপতি সঞ্জিত মিশ্র।

By

Published : Mar 17, 2019, 12:52 PM IST

নরেন্দ্র মোদির ছবি সমেত সেই হোর্ডিং

মালদা, ১৭ মার্চ : "তৃণমূল আজ কাচের ঘরে বসে অপরের ঘরে ঢিল মারছে। পশ্চিমবঙ্গে এমন কোনও দপ্তর বা সরকারি জায়গা নেই, যেখানে মমতা ব্যানার্জির হোর্ডিং নেই।" তৃণমূল নেতা প্রসেনজিৎ দাসের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একথা বললেন BJP-র মালদা জেলা সভাপতি সঞ্জিত মিশ্র। গতকাল প্রসেনজিৎ অভিযোগ তোলেন, মালদায় কিছু পেট্রলপাম্পে নরেন্দ্র মোদির ছবি থাকায় তা ভোটারদের প্রভাবিত করতে পারে। যা আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘনের পরিপন্থী। সেবিষয়ে পালটা আক্রমণ করে সঞ্জিত বলেন, "যেখানেই তাকাবেন সেখানেই মমতা ব্যানার্জির ছবি। গোটা হাসপাতাল চত্বর খুঁজলে শুধুই ওঁর ছবি পাবেন।"

তৃণমূল নেতা প্রসেনজিৎ দাস গতকাল জেলা BJP-র বিরুদ্ধে আদর্শ আচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, "নরেন্দ্র মোদির ফোটো দিয়ে ভারত সরকারের প্রচার চালানো MCC-র আইনকে লঙ্ঘন করা। এর বিরুদ্ধে জেলাশাসক ও জেলা নির্বাচন আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। জেলা পরিষদের BJP সদস্যের পেট্রল পাম্প আছে। তিনি সেখানে এই কাজগুলি করছেন।" তাঁর দাবি, এগুলি অবিলম্বে খুলে ফেলা হোক। নোংরা রাজনীতি করছে BJP। নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর ভারত সরকারের বিজ্ঞাপনে নরেন্দ্র মোদির ফোটো থাকতে পারে না। তাঁরা এই ঘটনার তীব্র বিরোধিতা করছেন।

MCC-র আইনভঙ্গের অভিযোগ সম্পর্কে BJP-র জেলা সভাপতি সঞ্জিত মিশ্রকে প্রশ্ন করা বলে তিনি বলেন, "নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আদর্শ আচরণ বিধি লাগু হয়েছে। তাতে বলা আছে কোনও সরকারি বিল্ডিং, সরকারি ল্যাম্প পোস্ট বা অন্য কোনও সরকারি সম্পত্তিতে নির্বাচনী প্রচার সামগ্রী লাগানো যাবে না। কিন্তু পেট্রল পাম্প বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। কোনও পেট্রলপাম্পের মালিক যদি কোনও রাজনৈতিক দলের সমর্থক হন এবং তিনি যদি সেই দলের সমর্থনে ফ্লেক্স বা ব্যানার লাগান তবে সেটা অপরাধ নয়। এটা আদর্শ আচরণ বিধিকে ভঙ্গ করে না। তৃণমূল নেতাদের বলছি, এগুলো না করে নিজেদের ঘরটা আগে সামলান। আগে নিজেদের ঘর পরিষ্কার করে তারপর BJP-র দিকে আঙুল তুলবেন। পেট্রল পাম্পে হোর্ডিং যদি MCC-র আইন ভঙ্গ করে তবে নির্বাচন কমিশন সেই হোর্ডিং খুলিয়ে দেবে। এবিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। আমরা এতদিনে কাউকে হোর্ডিং লাগাতেও বলিনি।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details