মালদা, 15 মে : ইদের পরদিন ভোরে স্ত্রীর গলার নলি কেটে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে ৷ তবে কেন এই খুন, তা নিয়ে উঠে আসছে দুটি তত্ত্ব ৷ মৃত বধূর বাপেরবাড়ির তরফে অভিযোগ, টাকার দাবিতেই এই খুন ৷ এদিকে গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, এই ঘটনার পিছনে রয়েছে মৃতার শাশুড়ির অবৈধ সম্পর্ক ৷ পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ৷ গোটা ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদার যাত্রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের হালনা মহম্মদপুর গ্রামে ৷
নিহত বধূর নাম রূপালি বিবি ৷ বয়স ২৫ বছর ৷ বাপেরবাড়ি গাজোলের বৈরগাছি গ্রাম ৷ মাস তিনেক আগে দেখাশোনা করে তাঁর বিয়ে হয় হালনা মহম্মদপুর গ্রামের রুকসেদ আলির সঙ্গে ৷ রুকসেদ পেশায় ভিনরাজ্যের শ্রমিক ৷ রূপালি তার চার নম্বর স্ত্রী ৷ আগের তিনজন রুকসেদকে তালাক দিয়ে চলে যায় ৷ ভিনরাজ্যের শ্রমিক হলেও প্রথম লকডাউন থেকেই সে বাড়িতে রয়েছে ৷ পুলিশের বক্তব্য, পারিবারিক কোনও বিষয়ে ইদের রাতে এই দম্পতির মধ্যে ঝামেলা হয় ৷ আজ ভোর সাড়ে চারটের সময় রুকসেদ তার স্ত্রীকে গলার নলি কেটে খুন করে ৷ গ্রামেরই এক বাসিন্দা ফোন মারফৎ সেই খবর পুলিশকে জানান ৷ খবর পেয়ে গ্রামে গিয়ে পুলিশ রুকসেদকে গ্রেফতার করে ৷ বাজেয়াপ্ত করা হয় খুনে ব্যবহৃত ধারালো ছুরিটিও ৷ মৃতদেহ সহ রুকসেদকে মালদা থানায় নিয়ে আসা হয় ৷ তবে ঘটনার পরেই গা ঢাকা দিয়েছেন রুকসেদের মা রুকসানা বেওয়া ৷
বৈরগাছি গ্রামে রূপালিকে সবাই রোজিনা নামেই চেনে ৷ তাঁর খুনের খবর পেয়ে আজ মালদা থানায় ছুটে আসেন ওই গ্রামের অনেকে ৷ তাঁদের একজন জাহিদুল ইসলাম বলেন, “বিয়ের সময় রুকসেদকে দেড় লাখ টাকা পণ দেওয়া হয়েছিল ৷ কিন্তু বিয়ের পর সে আরও টাকা দাবি করতে থাকে ৷ রোজিনার বাবারা গরিব মানুষ ৷ বাবা ও দুই দাদা শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালান ৷ তবুও জামাইকে একবার 25 হাজার টাকা দিয়েছিলেন তাঁরা ৷ আজ সকালে শুনলাম, রোজিনার গলার নলি কেটে খুন করেছে রুকসেদ ৷ আমরা ওর ফাঁসি চাইছি ৷”