পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

By

Published : May 19, 2021, 11:00 PM IST

ETV Bharat / state

মালদায় গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ; পণের দাবিতে খুনে অভিযোগ

তিন মাস আগে চাঁচল থানার মহানন্দপুরের প্রকাশ ঠাকুরের সঙ্গে বিয়ে হয় পঞ্চমীর । অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে পণের জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকজন পঞ্চমীর উপর শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার চালাত । এনিয়ে প্রায়শই পরিবারের সঙ্গে বচসা লাগত পঞ্চমীর । বুধবার সকালে বাথরুম থেকে পঞ্চমীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয় ।

মালদায় গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
মালদায় গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার মালদায় গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

মালদা, 19 মে : পণের দাবিতে গৃহবধূকে ফাঁস লাগিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামী সহ পরিবারের বাকি সদস্যদের বিরুদ্ধে । ঘটনাটি ঘটেছে চাঁচলের মহানন্দপুরে । মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ । মৃত গৃহবধূর নাম পঞ্চমী দেবী (19) । বাড়ি বিহারের পূর্ণিয়া জেলার বাইসি থানার দারবাইগঞ্জে।

জানা গিয়েছে, তিন মাস আগে চাঁচল থানার মহানন্দপুরের প্রকাশ ঠাকুরের সঙ্গে বিয়ে হয় পঞ্চমীর । অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে পণের জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকজন পঞ্চমীর উপর শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার চালাত । এনিয়ে প্রায়শই পরিবারের সঙ্গে বচসা লাগত পঞ্চমীর । বুধবার সকালে বাথরুম থেকে পঞ্চমীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয় ।


পঞ্চমীর কাকা মানিকচন্দ্র ঠাকুর বলেন, আজ সকালে পঞ্চমীর শ্বশুরবাড়ির লোকজন ফোন করে জানায় পঞ্চমী আত্মহত্যা করেছে । আমরা জানতে চাই পরিবারের সঙ্গে কি কোনও ঝামেলা হয়েছিল ? কিন্তু সেসব কিছুই হয়নি বলে জানায় পঞ্চমীর শ্বশুরবাড়ির লোকজন । কিন্তু পঞ্চমীর শ্বশুড়বাড়ির এলাকায় এসে তারা জানতে পারেন, গতকাল রাতে পরিবারের সঙ্গে পঞ্চমীর ঝামেলা হয়েছিল । পঞ্চমীর কাকা আরও বলেন, "বিয়ের সময় পণ হিসেবে আমরা গাড়ি, সোনা, খাট সহ বেশ কিছু আসবাবপত্র দিয়েছিলাম । তারপরও পণের জন্য পঞ্চমীকে বারবার চাপ দিত শ্বশুরবাড়ির লোকজন ।" পঞ্চমীর পরিবারের অনুমান, পণের জন্যই পঞ্চমীকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ।

কী বললেন মৃতার কাকা, শুনুন

আরও পড়ুন : পানিহাটিতে 15 ঘণ্টা পড়ে করোনা মৃতদেহ

পঞ্চমীর বাড়ির তরফ থেকে চাঁচল থানায় অভিযোগ জানানো হয় ৷ চাঁচল থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে । পাশাপাশি আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে মৃত গৃহবধূর স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details