মালদা, 31 অগাস্ট: জেলা প্রশাসনের হাতে থাকা নদীঘাটে চলছে দাদাগিরি ৷ নিলামে ঘাটের ঠিকা পাওয়া জলকরের দলবল নিজেদের মর্জিমাফিক যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করছে ৷ যাত্রীদের নিরাপত্তায় নৌকায় রাখা হচ্ছে না কোনও লাইফ জ্যাকেট কিংবা বয়া ৷ দীর্ঘদিন ধরে চলা এই দাদাগিরিতে অতিষ্ঠ এলাকার মানুষজন । অনেকদিন ধরে ঘাটে লঞ্চ পরিষেবার দাবি তুলে আসছেন তাঁরা ৷ তার জন্য ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার বরাদ্দ করেছে এক কোটিরও বেশি টাকা ৷ কিন্তু এখনও সেই পরিষেবা চালু হয়নি ৷ ঘটনাটি কালিয়াচক তিন নম্বর ব্লকের শোভাপুর পারদেওনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পারলালপুর ঘাটের ৷ ঘাটে লঞ্চ পরিষেবা চালুর দাবিতে পারলালপুর-ধুলিয়ান ফেরিঘাট যাত্রী অধিকার সুরক্ষা কমিটি জেলাশাসক ও জেলা পরিষদের সভাধিপতির দ্বারস্থ হয়েছে ৷ এই বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সভাধিপতি ৷
1990 সালের আগে পারলালপুর ঘাট মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল ৷ তারপর এই ঘাটের নিয়ন্ত্রণ পায় মালদা জেলা প্রশাসন ৷ এই জেলায় মানিকচক, পারলালপুর সহ গঙ্গার মূল ঘাটগুলির দায়িত্বে রয়েছে জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার বিভাগ ৷ অন্য ঘাটগুলিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে টিকিটঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ সেখানে রয়েছে ভাড়ার তালিকা লেখা বোর্ড ৷ শুধুমাত্র ব্যতিক্রম পারলালপুর ঘাট ৷ পারলালপুর-ধুলিয়ান ফেরিঘাট যাত্রী অধিকার সুরক্ষা কমিটির সভাপতি জাহিরুদ্দিন আহমেদ বলেন, "গঙ্গার দু’পাশে থাকা দুই জেলার দুই লাখেরও বেশি মানুষ নদী পারাপারের জন্য এই ঘাট ব্যবহার করেন ৷ কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই ঘাটে স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতীর দাদাগিরি চলছে ৷ তারা নিজেদের ইচ্ছেমতো যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করছে ৷ যাতীদের 3-4 গুণ বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে ৷ আমরা একাধিকবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি ৷ কিন্তু কোনও কারণবশত এই সমস্যার সমাধান এখনও হয়নি ৷ এই দাদাগিরি থেকে বাঁচতে আমরা প্রশাসনের কাছে এখানে লঞ্চ পরিষেবা চালু করার দাবি জানিয়েছিলাম ৷ তার জন্য যেন লঞ্চ জেটি তৈরি করা হয়, তার জন্যও আমরা লিখিতভাবে প্রশাসনকে জানিয়েছি ৷ এই জেটি নির্মাণের জন্য রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে এক কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে শুনেছি ৷ কিন্তু এখনও সেই জেটি তৈরি করা হয়নি ৷ ফলে আমাদের এখনও দুষ্কৃতীদের দাদাগিরি মেনে নেওয়া ছাড়া কোনও উপায় থাকছে না "