মালদা, 19 নভেম্বর : বেলা তখন প্রায় পৌনে বারোটা । প্রতিদিনের মতো সুজাপুরের বিভিন্ন প্লাস্টিক কারখানায় দৈনন্দিন কাজ চলছিল । শ্রমিকরা বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করা প্লাস্টিক টুকরো করার কাজ করছিলেন আমিরুল ইসলাম নামে একজনের কারখানায় । হঠাৎ বিস্ফোরণ । যতদূর জানা যাচ্ছে, সেই কারখানায় যে প্লাস্টিক স্ক্রাপ করার মেশিনে কাজ চলছিল, সেই মেশিনেই বিস্ফোরণ ঘটে । মুহূর্তের মধ্যে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় কারখানা । লুটিয়ে পড়েন অন্ততপক্ষে 15 জন শ্রমিক । তাঁদের মধ্যে 5 জনের মৃত্যু হয়েছে । বাকি আহতদের মধ্যে পাঁচজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । অন্যদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে । ঘটনার তদন্তে এই মুহূর্তে সুজাপুরে রয়েছেন জেলাশাসক, পুলিশ সুপার-সহ পুলিশ ও প্রশাসনের অন্য কর্তাব্যক্তিরা । রাজ্যের পৌর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও আসতে চলেছেন দুর্ঘটনাস্থানে ।
কী কারণে এই বিস্ফোরণ, তা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে রয়েছে প্রশ্ন । তবে এই নিয়ে এলাকার কেউ এখনও সংবাদমাধ্যমের সামনে সঠিকভাবে কিছু, জানাতে পারছেন না । বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটা বেশি ছিল যে, মেশিনটি যেখানে বসানো হয়েছিল, সেখান থেকে কয়েক ফুট দূরে ছিটকে গিয়ে পড়ে । গোটা কারখানা তছনছ হয়ে যায় । ছাদের একাংশ উড়ে যায় । সেগুলির অংশ বিভিন্ন জায়গায় ছিটকে পড়ে । এমনকি অনেক গাছেও সেই টুকরোগুলি আটকে থাকতে দেখা গেছে । বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশেপাশের বেশ কয়েকটি বাড়ির জানালার কাচ ভেঙে গেছে । পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে তাঁদের অনুমান, মেশিনে বিস্ফোরণের জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে । তবে এনিয়ে আরও তদন্তের প্রয়োজন । তার জন্যে ফরেনসিক দলের প্রতিনিধিরা মালদায় আসছেন । তাঁরা দুর্ঘটনাস্থান থেকে নমুনা সংগ্রহ করবেন ।