মালদা, 7 সেপ্টেম্বর : মোবাইল গেমে আসক্তির জেরে পরিবারের লোকজনকে মৃত্যু নিয়ে একাধিক প্রশ্ন করেছিল কয়েকদিন আগেই । তারপরই ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় দশম শ্রেণির ছাত্রের । ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদার ইংরেজবাজারের বাগবাড়ি এলাকায় । মৃত ছাত্রের নাম রামকৃষ্ণ অধিকারী (15)। বাড়ি ইংরেজবাজারের বাগবাড়ির লক্ষ্মীপুরে । রামকৃষ্ণ আরাপুর হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউনে স্কুল বন্ধ থাকায় মোবাইলে গেমের নেশা বাড়তে থাকে রামকৃষ্ণর । এরপর পরিবারের সদস্যদের মৃত্যু নিয়ে নানা প্রশ্ন করতে শুরু করে সে । গতকাল যখন তার মা ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন । সেই সময় বাড়িতে একাই ছিল রামকৃষ্ণ । সেই সুযোগে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় সে । তার মা বাড়ি ফিরে রামকৃষ্ণর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন ৷ পরে পরিবারের সদস্যরা রামকৃষ্ণকে মালদা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা রামকৃষ্ণকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । রামকৃষ্ণর পিসি বিজলি দে জানান, রামকৃষ্ণ মোবাইলে সব সময় গেম খেলত । দু-তিনদিন ধরে ও মার কাছে জানতে চায়, মানুষ মারা গেলে কী হয়? ফাঁসি দেওয়ার কতক্ষণ পরে মানুষ মারা যায়? এরপর গতকাল রামকৃষ্ণের মা ব্যাঙ্কে গিয়েছিল । সেই সময় বাড়িতে কেউ ছিল না। রামকৃষ্ণের মা বাড়িতে ফিরে দেখেন ছেলের দেহ ঝুলছে । যখন ওকে নামানো হয় তখনও রামকৃষ্ণ বেঁচে ছিল। হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় পথেই মৃত্যু হয় তার । মোবাইলে গেম খেলেই এই ধরনের মানসিকতা তৈরি হয়েছিল ওর। মোবাইল চেক করলেই গোটা বিষয়টি বোঝা যাবে ৷