মালদা, 13 ফেব্রুয়ারি: নির্বাচনী বিধিনিষেধের মধ্যে চলছে সরকারি বইমেলা । বইমেলায় বক্তব্য রাখছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গণশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরি । সরকারি অনুষ্ঠান মঞ্চে দাঁড়িয়ে আক্রমণ করলেন কেন্দ্রকে (Siddiqullah Chowdhury on Model Code of Conduct Violation)। তবে পরে তা অস্বীকার করেন ৷ প্রশ্ন উঠতেই মেলা ছেড়ে চলে যান স্পেশাল ইলেকশন অবজারভার ৷
এদিন মঞ্চ থেকে সিদ্দিকুল্লা বলেন, “কাশ্মীরে 370 ধারা বাতিল হয়েছে । কিন্তু তা সংবিধানসম্মত নয় । কেন্দ্রীয় সরকার এই কাজ করেছে ক্ষমতার বলে সাংবিধানিক বলে নয় । কৃষি আইন কেন্দ্রীয় সরকারকে ফিরিয়ে নিতে হয়েছে । প্রধানমন্ত্রীকে থুতু ফেলে, থুতু চেটে খেতে হল ।” এদিন মন্ত্রীর বক্তব্য চলাকালীন বইমেলায় এসে পৌঁছন ইংরেজবাজার পৌরসভা নির্বাচনের স্পেশাল অবজারভার । নির্বাচনী আচরণ বিধির মধ্যে একজন মন্ত্রী এধরনের মন্তব্য করতে পারেন কিনা তা নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি । ইটিভি ভারতের ক্যামেরা দেখে তড়িঘড়ি বইমেলা ছেড়ে চলে যেতে দেখা যায় স্পেশাল অবজারভারকে ৷
আরও পড়ুন:Bengal Civic Polls 2022 : বহরমপুরে ফের কংগ্রেস প্রার্থীর বাড়িতে হামলা, কাঠগড়ায় তৃণমূল
আগামী 27 ফেব্রুয়ারি রাজ্যের 108টি পৌরসভার সঙ্গে মালদার দুই পৌরসভার নির্বাচন । নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে মালদা দুই পৌরসভা এলাকায় লাগু রয়েছে নির্বাচনী আচরণ বিধি । এরই মধ্যে গত 8 ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে মালদা জেলা বইমেলা । চলবে আগামিকাল পর্যন্ত । আজ বইমেলায় এসে বইমেলার নিজস্ব পত্রিকা উদবোধন করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গণশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরি । মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজনৈতিক সুর ধরেন তিনি । আক্রমণ করেন কেন্দ্রীয় সরকারকে ৷ সেই সময় বইমেলায় এসে উপস্থিত হন ইংরেজবাজার পৌরসভা নির্বাচনের স্পেশাল অবজারভার মৌসুমী চট্টরাজ চৌধুরী । তাঁর কাছে নির্বাচনি আচরণ বিধি চলাকালীন কোনও মন্ত্রী ধরনের মন্তব্য করতে পারেন কি না প্রশ্ন করা হলে তিনি ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে রাজি হননি । তবে জানান, এমন কোনও অভিযোগ তিনি পাননি । এরপরেই তিনি বইমেলা ছেড়ে বেরিয়ে যান ।
তবে এঘটনা নিয়ে সিদ্দিকুল্লা সাহেব বলেন, “আমি জানি সাংবাদিক বন্ধুরা নেগেটিভটা আগে তুলে ধরেন । বইমেলা নিজের জায়গায় হচ্ছে । এখানে ভোট প্রচার হয়নি । কাকে ভোট দেবেন, কাকে দেবেন না এমন বক্তব্য এখানে কেউ রাখেননি ।"