মালদা, 14 সেপ্টেম্বর: পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে শাসকদলে অশান্তির আগুন এখনও নেভেনি ৷ তারই জেরে গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে পরাজিত এক তৃণমূলের প্রার্থীর বাড়িতে ঢুকে তাঁর স্বামীকে বেধড়ক মারধর ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে ৷ অন্যদিকে, বিক্ষুব্ধ তৃণমূলিদের উপর হামলারও অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের কর্মীদের দিকে ৷ সংঘর্ষে দু'পক্ষের ছ'জন আহত হয়েছেন ৷ হাঁসুয়ার কোপ লেগেছে এক মহিলারও ৷ ঘটনাটি ঘটেছে মানিকচক ব্লকের দক্ষিণ চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহেন্দ্রটোলা গ্রামে ৷ আহতরা বর্তমানে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের না হলেও ঘটনার খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে ভূতনি থানার পুলিশ ৷
এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে দক্ষিণ চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের 107 নম্বর বুথে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন জুলি মণ্ডল ৷ ওই আসনে প্রার্থীপদের দাবিদার ছিলেন অনেকজন ৷ এ নিয়ে শাসকদলের অন্দরে বিবাদ শুরু হয় ৷ দলীয় টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে দাঁড়িয়ে পড়েন এক বিক্ষুব্ধ ৷ যদিও ভোটে দু’জনেই হেরে যান৷ বিজেপি প্রার্থী জয়লাভ করেন ৷ কিন্তু প্রার্থী হওয়া নিয়ে দু’পক্ষের বিবাদ এখনও তুঙ্গে ৷ তার জেরেই এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ৷ অভিযোগ, বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর কৃষ্ণ মণ্ডল, শ্রবণ মণ্ডল, রূপচাঁদ মণ্ডল-সহ অনেকে জুলির বাড়িতে ঢুকে তাঁর স্বামী সন্তোষ মণ্ডলের উপর চড়াও হয় ৷ বাধা দিতে গিয়ে হাঁসুয়ার কোপ খান সুলেখা মণ্ডল নামে বাড়ির এক মহিলা সদস্য ৷ উপস্থিত এক তৃণমূল কর্মী ধনঞ্জয় মণ্ডলকেও বেধড়ক মারধর করা হয় ৷
জুলির কথায়, "ওরা গ্রামের প্রমোদ মণ্ডলের বাড়িতে ঢুকে মারধর করেছিল ৷ সেই মামলায় আমরা সাক্ষী দিয়েছি ৷ যারাই ওই মামলায় সাক্ষী দিয়েছে, তাদের সবার বাড়িতে ঢুকে কৃষ্ণ মণ্ডলরা মারধর করছে ৷ ওরা আগেই হুমকি দিয়েছিল, ফাঁকা পেলে ওরা আমাদের দেখে নেবে ৷ সুযোগ পেয়ে আজ ওরা আমাদের বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায় ৷ ওদের সবার হাতে হাঁসুয়া ছিল ৷ আমি তৃণমূল করি ৷ প্রার্থীও হয়েছিলাম ৷ কিন্তু হেরে গিয়েছি ৷ ওরাও আগে তৃণমূল করত ৷ ভোটে টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়ে গিয়েছে ৷ টিকিট পাওয়া নিয়ে আগে থেকেই আমার উপর ওদের রাগ ছিল ৷ পরে ওদের বিরুদ্ধে সাক্ষী দেওয়ায় ওরা রাগে পাগল হয়ে গিয়েছে ৷"