মালদা, 2 এপ্রিল: পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি এখনও জারি হয়নি ৷ তার আগে শনিবার কংগ্রেস-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল রতুয়া 2 নম্বর ব্লকের পরাণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মীরজাতপুর গ্রাম ৷ দু'পক্ষের মধ্যে ব্যাপক ইটবৃষ্টি চলে ৷ দু'দলেরই কার্যালয় ভাঙচুর করা হয় ৷ এমনকী দুটি মোটরবাইকেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুখুরিয়া থানার পুলিশ ৷ সংঘর্ষে কংগ্রেসের কেউ তেমন আহত হয়নি ৷ তবে তৃণমূলের সাত সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন ৷ তাঁদের মধ্যে ছ'জন স্থানীয় আড়াইডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ একজনকে মালদা মেডিক্যালে ভরতি করা হয়েছে ৷ এই ঘটনায় দু'পক্ষের কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ ৷ এলাকাতেও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ৷
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে নমাজের সময় ৷ স্থানীয় সূত্রে খবর, তখন তৃণমূলের কার্যালয়ে বেশ কয়েকজন দলীয় কর্মী বসে গল্পগুজব করছিলেন ৷ সেই সময় কয়েকজন কংগ্রেস কর্মীর সঙ্গে তাঁদের বচসা হয় ৷ কংগ্রেস কর্মীরা তখনকার মতো সেখান থেকে চলে গেলেও পরে তাঁরা ফের দলবল নিয়ে সেখানে আসেন ৷ প্রথমে দু'পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয় ৷ তারপরেই শুরু হয়ে যায় ইটবৃষ্টি ৷
এই ঘটনায় আহত হয়েছেন তৃণমূল পরিচালিত পরাণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জাসমিন বিবিও ৷ তাঁর বক্তব্য, ঘটনা কী ঘটেছিল তিনি নিজেও জানেন না ৷ রাত হয়ে গিয়েছিল ৷ তাঁর স্বামী দলীয় কার্যালয়ে ছিলেন ৷ তাঁর ফোনে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না ৷ এদিকে রোজার মধ্যে তারাবি পড়ার সময় হয়ে যায় ৷ তখনও স্বামী ঘরে না ফেরায় তাঁকে ডাকতে তিনি দলীয় কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন ৷ রাস্তাতেই ফিরোজ খান আর আতাউর তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ ৷ তিনি বলেন, "তাঁরা আমাকে ইট আর কাচের বোতল দিয়ে মেরেছে ৷ তাঁরা সবাই কংগ্রেসের লোক ৷ তাঁরা সবাই হাতিয়ার নিয়ে এসেছিল ৷"