মালদা, 4 এপ্রিল : পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই মাস্টারস্ট্রোক কংগ্রেসের ৷ তৃণমূল থেকে তারা নিজেদের ঘরে ফিরিয়ে আনল জেলা পরিষদের সদস্য তথা প্রাক্তন সভাধিপতি সরলা মুর্মুকে ৷ মঙ্গলবার তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়েছেন মালদা জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি কালীসাধন রায় ৷ এই যোগদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দলের তিন প্রাক্তন বিধায়কও ৷ নিজের পুরোনো দলে ফিরে এসে রাজনীতির একটি বৃত্তও যেন সম্পূর্ণ করলেন সরলা ৷
যদিও তাঁর দলবদলকে গুরুত্ব দিতে রাজি নয় তৃণমূল ৷ তবে রাজনৈতিক মহল বলছে, এই মুহূর্তে তৃণমূল শিবিরে তফশিলি উপজাতিভুক্ত মহিলা নেত্রী তেমন কেউ নেই ৷ ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সরলার দলত্যাগ নিশ্চিতভাবে মালদায় শাসকদলের নেতৃত্বের কপালে ভাঁজ ফেলবে তা বলাই বাহুল্য ৷
2013 সালে পুরাতন মালদার যাত্রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের কোচপাড়া গ্রামের সরলা মুর্মুকে রাজনীতির আঙিনায় নিয়ে আসেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরী ৷ পঞ্চায়েতে প্রথমবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন তিনি ৷ তাঁকেই সভাধিপতি পদের দায়িত্ব দেয় কংগ্রেস ৷ 2018 সালে তিনি শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন ৷ সেবারও জেলা পরিষদ আসনে ঘাসফুলের প্রতীকে জয়ী হন ৷ তাঁকে মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ করা হয় ৷ কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে পুরাতন মালদায় প্রার্থী না করে গাজোলের টিকিট দেওয়া হয় ৷ সেটা মেনে নিতে পারেননি সরলা ৷ প্রার্থী ঘোষণার পর তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যান ৷ কিন্তু গেরুয়া শিবিরেও তিনি তেমন কল্কে পাননি ৷ এরপর খোদ তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি ঘাসফুল শিবিরে ফিরে আসেন ৷ তিনি এখনও জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য ৷