মালদা, 7 জুলাই:চোরাগোপ্তা ঝামেলা শুরু হয়েছে দু’দিন আগে থেকেই ৷ বৃহস্পতিবার রাতে থেকে বেড়েছে প্রাক নির্বাচনী অশান্তি ৷ ফলে শনিবার ভোটের দিন কী হবে, তা নিয়ে শঙ্কিত ভোটাররা ৷ তবে বিষয়টি নতুন না, এটাই সাম্প্রতিক সময়ে যে কোনও ভোটে বাংলার মডেল বলে দাবি সমালোচকদের ৷ এই দাবি যে খুব একটা ভুল নয়, বৃহস্পতিবার রাতে তার প্রমাণ মিলেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে বৈষ্ণবনগর পর্যন্ত ৷
এর মধ্যে রতুয়া 2 নম্বর ব্লকে ঝামেলা সবচেয়ে বড়৷ রাতের নিস্তব্ধতা বারবার ভঙ্গ হয়েছে গুলির শব্দে ৷ এই ঘটনায় দু’পক্ষের 10-12 জন আহত হয়েছেন ৷ তাঁদের মধ্যে আটজন বাম-কংগ্রেস জোটের সমর্থক ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী ৷ গোটা ঘটনায় অভিযোগের নিশানায় রয়েছে শাসকদল তৃণমূল ৷ যদিও তারা অভিযোগ ন্যসাৎ করে দিয়েছে ৷
বৃহস্পতিবার রাতে রতুয়া 2 নম্বর ব্লকের পরাণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদপুর এলাকায় হঠাৎ করেই নির্বাচনি ঝামেলা শুরু হয়ে যায় ৷ এই এলাকায় এবার বাম-কংগ্রেসের জোট হয়েছে ৷ জোটের কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ, রাতে তাঁরা গ্রামে বসে গল্প করছিলেন ৷ সেই সময় তৃণমূল প্রার্থীর স্বামী শেখ শাহজাহানের নেতৃত্বে একদল দুষ্কৃতী গ্রামে ঢোকে ৷ প্রথমে তারা হুমকি দেওয়া শুরু করে ৷ তারপরেই গুলি চালাতে থাকে৷ তাদের হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয় ৷ এরপরেই গ্রামবাসীরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে তারা এলাকা ছেড়ে পালায় ৷
গ্রামের বাসিন্দা তথা কংগ্রেস সমর্থক মিনসারি বিবি বলছেন, “গতকাল রাতে বাড়ির সামনেই বসে ছিলাম ৷ তখন তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান দলবল নিয়ে গ্রামে আসে ৷ প্রথমে ওরা আমাদের উদ্দেশ্যে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে ৷ ভোটের কথা ভেবে আমরা চুপ করেই ছিলাম ৷ একসময় আমরা ঘরে ঢুকে যাই ৷ খেতে বসি ৷ তখনই ওরা দোকানদার জাইনুলকে মারধর শুরু করে ৷ ভয়ে আমরা বাচ্চাদের নিয়ে পিছনের গেট দিয়ে পালিয়ে যাই ৷ আমাদের না পেয়ে ওরা বাড়িঘর ভাঙচুর করে ৷ ওরা পাঁচটা গুলি চালিয়েছে৷ গুলির সব খোল রাখা আছে ৷ প্রধানের স্বামী আর সাহেব গুলি চালিয়েছিল ৷”